শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত
দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম থেকে কয়েক হাজার হেফাজত কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে এসব স্থানে হামলা
চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধীতায়
বেলা সোয়া দুইটার দিকে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা থেকে কয়েক হাজার হেফাজত কর্মী করে মিছিল
নিয়ে বের হয়। এসময় তারা হাটহাজারী থানা, ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ডাক বাংলোতে হামলা চালায়।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মছিউদ্দৌল্লাহ রেজা বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বিনা উস্কানিতে হেফাজত কর্মীরা থানায়
হামলা চালায়। তারা থানা কম্পাউন্ডে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।”
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, “হেফাজতে
ইসলামের কর্মীরা ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ডাক বাংলোতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। পাশাপাশি তারা
ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগও করে।
“আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হেফাজতের কর্মীরা ভূমি অফিসে প্রবেশে
বাধা দেয়।”
পরে পুলিশের ধাওয়ার খেয়ে হেফাজত কর্মীরা মাদ্রাসা গেইটে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম
খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।

২০১০ সালে দেশের কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আত্মপ্রকাশ
হয়। নারী নীতি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেশে ২০১৩ সালে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের
বিরোধীতা করে দেশে ব্যাপক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান করে ব্যাপক অরাজকতা
চালায় সংগঠনটি। এই সংগঠনটি মূলত হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত দারুল উলুম মুঈনুল
ইসলাম থেকে পরিচালিত হয়।