শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রায়গঞ্জের নলকা ইউনিয়নের কেসি ফরিদপুর গ্রামে
এ ঘটনার পর দুপুরে তাদের আটক করা হয় বলে সলঙ্গা থানার ওসি তাজুল হুদা জানান।
আটকরা হলেন, কেসি ফরিদপুর গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে দলিউর রহমান দুলাল
(৪৫), গোলাম কিবরিয়া (২৭), হাছেন আলীর ছেলে আব্দুল হালিম (২৫) ও আব্দুল খালেকের ছেলে
সুমন মাহমুদ (২২)।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ওসি জানান, কেসি ফরিদপুর গ্রামের হোসেন আলীর পৈত্রিক
বসতবাড়িসহ জায়গা-জমি নিয়ে একই গ্রামের দলিউর রহমান দুলাল, হাফেজ আলী, খায়রুল ইসলাম,
কামরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, আব্দুল হালিম ও মাহফুজুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ
চলে আসছিল।
“এরই জেরে শুক্রবার সকালে দলিউর রহমান দুলালের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ লোকজন
দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দরিদ্র হোসেন আলীর বসতবাড়ি জোর করে দখল করার চেষ্টা করে।
“এ সময় হোসেন আলীর ছেলে সুলতান মাহমুদ (৩০) ও রুবেল হোসেন তাতে বাধা দেন।
তাতে খেপে গিয়ে তারা ওই দুইজনকে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
করেন।”
এছাড়াও হোসেন আলীর স্ত্রী আমিনা খাতুনকেও (৫০) মারধর করা হয়েছে। বাড়িঘর
ভাংচুর ও লুটপাটও করেন তারা বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা বিষয়টি ভিডিও করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দিলে তা ভাইরাল
হয়ে যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সূত্রধরে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে ওই
এলাকায় অভিযান চালানো হয় বলেও জানান ওসি।
অভিযানকালে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করে হোসেন আলী
বাদী হয়ে মামলা করেছেন।