শুক্রবার
বিকালে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ী সীমান্তে এই অনুষ্ঠান হয়।
সরেজমিনে
দেখা যায়, দুই দেশের বাহিনীর সদস্যদের চমকপ্রদ, মনোমুগ্ধকর ও জাঁকজমকপূর্ণ যৌথ প্যারেড
প্রদর্শন করেছে। প্রায় আধা ঘণ্টা প্যারেড প্রদর্শন করা হয়। পরে দুই দেশের জাতীয় পতাকা
একসঙ্গে নামিয়ে প্যারেড শেষ করা হয়।
এই উপলক্ষ্যে
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট এলাকা নানা রংয়ের বেলুন ও পতাকায় সাজানো হয়। অনুষ্ঠানস্থলে
ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষের নানা স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড।

বিপুল সংখ্যক
সাধারণ দর্শনার্থী বিশেষ এই ‘রিট্রিট প্যারেড’ উপভোগ করেন। উভয় বাহিনীর সদস্যসহ সবার
মধ্যে ছিল আনন্দমুখর পরিবেশ। উভয় দেশের জাতীয় পতাকা নামানোর সময় সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান
জানান। বিশেষ দিনে বিশেষ এই রিট্রিট প্যারেডকে স্মরণে রাখতে অনেককে সেলফি তুলতে দেখা
গেছে।
অনুষ্ঠান
শেষে বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কায়সার হাসান মালিক সংবাদ সম্মেলনে
বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে
যে বন্ধুপ্রতিম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিল, সেই ভাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে এই যৌথ প্যারেডের
আয়োজন করা হয়।
“এবার স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে
এর আযোজন করা হয়।”

এই ধরনের
অনুষ্ঠান দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে তিনি মনে
করেন।
পরে বিএসএফের
নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী সুনীল কুমার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের দিনটিকে আরও
গৌরবান্বিত করতে যৌথ এই রিট্রিট সেরিমনি।
এর আগে
বিএসএফের নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী সুনীল কুমারের নেতৃত্বে বিএসএফের কর্মকর্তারা
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে তাদের ফুলেল অভ্যর্থনা জানান বিজিবির উত্তর পশ্চিম রিজিয়নের রিজিয়ন
কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কায়সার হাসান মালিক।

এ সময় বিজিবির
ঠাকুরগাঁও সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল এসএম আজাদ, ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল
খন্দকার আনিসুর রহমান, বিএসএফের শিলিগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি শ্রী পরশু রাম, ৫১ ব্যাটালিয়নের
কমান্ড্যান্ট কে উমেশসহ বিজিবি ও বিএসএফের উর্ধতন কমর্কতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ছিলেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান। অতিথি ছিলেন
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা ও দায়রা
জজ শরীফ হোসেন হায়দার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন।