বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরীফ। বিকালেই তার মরদেহ পাবনার ঈশ্বরদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিকাল সাড়ে চারটায় ঈশ্বরদী পৌর শহরের আলীবর্দি সড়কের বাসভবনের সামনের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম জানাজা। সেখানে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়।
উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা গ্রামে সন্ধ্যা ছয়টায় দ্বিতীয় জানাজার পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
সাধারণত কোন সংসদ সদস্যের মৃত্যু হলে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শুক্রবার জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে জানাজা হলে বহু মানুষের একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে সংসদে জানাজা না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৪১ সালের ১২ মার্চ পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর শানিরদিয়াঢ় গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন শামসুর রহমান শরীফ। তার বাবার বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের লক্ষ্মীকুণ্ডা গ্রামে।
পাবনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট করার পর একই কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে গ্রাজুয়েশন করেন শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি হয় ছেলেবেলাতেই।
জাতীয় সংসদে পাঁচবার আটঘরিয়া-ঈশ্বরদীর (পাবনা-৪) মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা এই রাজনীতিবিদ আমৃত্যু পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।