করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
ডিএনসিসির দৈনন্দিন কার্যক্রমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার (২৮ মার্চ)আটটি পানির গাড়িতে মোট ১৩ বার ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত জীবাণুনাশক তরল উত্তরের বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক ও উন্মুক্ত স্থানে ছিটানো হয়েছে।
জীবাণুনাশক স্প্রের স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা সেক্টর-৭, ৮, ৯ ও সংলগ্ন এলাকা, নিকুঞ্জ ও ডুমনি এলাকা, মিরপুর সেকশন ১০, ১৩, ১৪ ও সংলগ্ন এলাকা, ভাষানটেক, মাটিকাটা ও সংলগ্ন এলাকা, টোলারবাগ, মডেল একাডেমি, কল্যাণপুর ও সংলগ্ন এলাকা, মোহাম্মদপুর টাউন হল, শিয়া মসজিদ ও সংলগ্ন এলাকা, ফার্মগেট, খিলগাঁও ও সংলগ্ন এলাকা,নাখালপাড়া, নাবিস্কো, বাড্ডা ও সংলগ্ন এলাকা।
আটটি পানির গাড়ির মাধ্যমে মোট এক লাখ ৩০ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক ডিএনসিসির ১৯ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট এলাকায় ছিটানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলিতে, মসজিদের সামনে মশক নিধনকর্মীরা হ্যান্ড স্প্রে ও হুইলব্যারো মেশিনে তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করেছে।
সচেতনতা কার্যক্রম
করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসির ফেইসবুক পেজে প্রচার অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো হচ্ছে। বস্তিবাসীসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে হাতধোয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জনগণকে সচেতন করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়েছে।
খাদ্যদ্রব্য বিতরণ
উত্তর সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে মোট ২৮,৮০০ অসহায়, ছিন্নমূল ও দুঃস্থ পরিবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৫০০ পরিবার এবং সংরক্ষিত আসনের প্রতিটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে ১০০ পরিবারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়।
প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি আলু এবং এক লিটার তেল বিতরণ করা হয়। এতে প্রতি পরিবারে ৬০০ টাকা হিসেবে ৫৪জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৮ সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরের মাধ্যমে মোট এক কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকার খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়।
সাবান বিতরণ
ডিএনসিসির প্রতিটি পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং মশকনিধনকর্মীকে দুটি করে সাবান বিতরণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
ডিএনসিসি ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল
ডিএনসিসি ও সেনাবাহিনীর যৌথ টহল অব্যাহত রয়েছে। জনগণকে ঘরে অবস্থান করার জন্য তারা উদ্বুদ্ধ করছেন। ডিএনসিসির পক্ষে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত
করোনাভাইরাস গণসংক্রমণ রোধে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণসহ সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকা উত্তরের ১০ অঞ্চলের প্রতিটিতে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শনিবার ডিএনসিসির ১০ অঞ্চলের মধ্যে ৯টিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মামলা ও দণ্ড (জেল/জরিমানা) প্রদানের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে বারিধারা এলাকায় দুই ব্যক্তি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে মোটরবাইক নিয়ে বের হওয়ায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মোট ১৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এএস/এএইচ/এমকেএইচ