শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর মোদী দর্শনার্থী বইয়ে এভাবেই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, “অধিকার, নিজস্ব সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের জন্যে বাংলাদেশের মানুষের যে সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধুর জীবন তারই প্রতিচিত্র। তার অবিনাশী চেতনা আর অদম্য সাহস কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তারা পরিণত হয়েছে বিজয়ী জাতিতে।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবরং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনের সফরে শুক্রবার ঢাকায় আসেন নরেন্দ্র মোদী। বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেন সম্মানিত অতিথি হিসেবে।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার তিনি টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে মোদীকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার উপস্থিতিতে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করে মোদী সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
দর্শনার্থী বইয়ে তিনি লেখেন, “ভারতবাসী বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে একজন বীর হিসেবে, সেই ভারতবাসীর পক্ষে আমি ২০ শতকের এই মহান রাষ্ট্রনেতার প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
“বঙ্গবন্ধু ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় নাম, যে ইতিহাসকে তিনি নতুন রূপ দিয়েছেন দৃঢ় সঙ্কল্প আর আত্মত্যাগের প্রবল শক্তি দিয়ে।”
মোদী লিখেছেন, “এই ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধুর দিয়ে যাওয়া সাম্য, মুক্তি আর ন্যায়বিচারের চেতনা আমাদের ভবিষ্যতেও পথ দেখিয়ে যাবে।”