কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শনিবার দুই দলের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র
হয়। আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হওয়া বাংলাদেশের একটি করে জয় ও ড্রয়ে পয়েন্ট ৪। দুই ড্রয়ে
২ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গী হলো নেপাল। ছিটকে গেল কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩
দল।
কিরগিজদের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জিতে প্রতিযোগিতায় শুভসূচনা করেছিল
বাংলাদেশ। একই দলের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিল নেপাল।
প্রথম ম্যাচের শুরুর একাদশ পুরোপুরি বদলে নেপালের বিপক্ষে দল সাজান
ডে। পোস্টের নিচের আনিসুর রহমান জিকোর বদলে শহিদুল আলম সোহেলকে দেন দায়িত্ব। জাতীয়
দলের জার্সিতে অভিষেক হলো ডিফেন্ডার মোহাম্মদ ইমন ও মেহেদী হাসানের। চোটে বিশ্বনাথ
ঘোষ ছিটকে পড়ায় ইমনের অভিষেকের বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করেছিলেন কোচ।
আক্রমণভাগে আগের ম্যাচেও মেহেদী হাসান রয়েল, মতিন মিয়া ও সাদ উদ্দিন
দলকে এনে দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত গোল। এবার এই দায়িত্ব পান লিগে ছয়টি করে গোল করা সুমন
রেজা ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সঙ্গে মাহবুবুর রহমান সুফিল। রাকিব হোসেন ফিরেন মিডফিল্ডের
ভূমিকায়। আগের ম্যাচে বদলি নামা জামাল ভূইয়া এবার শুরু থেকেই ছিলেন অধিনায়কের আর্ম
ব্যান্ড পরে।
শক্তিশালী দল সাজালেও আক্রমণে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।
৩৬তম মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণে যায় তারা। জামালের ফ্রি কিকে মানিক হোসেন মোল্লার দুটি
হেড প্রতিহত হয় রক্ষণে। মেহেদী হাসানের ফিরতি শটও উড়ে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
একটু পর জামালের দূরপাল্লার ফ্রি কিক অল্পের জন্য যায় ক্রসবারের
উপর দিয়ে।
৫৬তম মিনিটে রিয়াদুল হাসান রাফি ও জামালকে তুলে হাবিবুর রহমান সোহাগ
ও টুটুল হোসেন বাদশাকে নামান কোচ। মিনিট দশেক পর সুমন ও রাকিবকে তুলে নামান
মেহেদী হাসান রয়েল ও বিপলু আহমেদকে।
৭৭তম মিনিটে বিপলুর ছোট পাস ধরে ইয়াসিন আরাফাতের ক্রসে আব্দুল্লাহ
ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি। এরপর রয়েলের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট আটকান গোলরক্ষক।
৮১তম মিনিটে পোস্টের নিচে প্রথম শক্ত পরীক্ষার মুখোমুখি হন সোহেল।
দর্শন গুরংয়ের হেড লাফিয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ক্রসবারের বাইরের দিকে লেগে বেরিয়ে
যায়।
দুই ম্যাচে বাংলাদেশ কোনো গোল হজম করেনি; কোনো গোল দিতেও পারেনি।
একই অবস্থা নেপালেরও।
নেপালের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ড্র করল বাংলাদেশ। গত নভেম্বরে
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই প্রীতি ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ২-০ গোলে জিতেছিল
বাংলাদেশ। পরের ম্যাচ হয়েছিল গোলশূন্য ড্র।