রেজার প্রধান নির্বাহী মিন-লিয়াং টান জানিয়েছেন, তারা প্রজেক্ট হেজল’কে বাস্তবতায় রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
স্মার্ট মাস্কটির প্রসঙ্গে সিইএস চলাকালে রেজর জানিয়েছিল, এটি ব্যবহারকারীদেরকে পরিষ্কারভাবে কথা বলতে দেবে, এ জন্য এতে রয়েছে বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন। মূলত মাস্কটি ব্যবহারকারীদের আওয়াজ বাড়িয়ে দেবে, এতে করে মাস্ক পরা অবস্থায় থাকলেও কথা বুঝতে অসুবিধা হবে না কারো।
সিইএস আসরে মূলত স্মার্ট মাস্কটির একটি প্রটোটাইপ দেখিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। নকশায় দেখা গেছে, মাস্কে সক্রিয় বায়ু-চলাচল ব্যবস্থা রয়েছে। গরম কার্বন নিঃসরিত বাতাস বের করে দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস টেনে নেবে ওই বায়ু চলাচল ব্যবস্থা। তাদের তৈরি মাস্কটি এন৯৫ সার্জিক্যাল মাস্ক শ্রেণীর হবে বলেও জানিয়েছিল রেজর।
স্বচ্ছ্ব প্লাস্টিকের আবরণে তৈরি হবে মাস্কটি। ফলে সহজেই মানুষের ঠোঁট দেখে বুঝে নেওয়া যাবে তিনি কী বলছেন, পাশাপাশি চোখে পড়বে মুখের ভঙ্গিমাও। মাস্কটির ‘লো লাইট মোড’ থাকবে বলেও জানিয়েছিল রেজর। স্বল্প আলোতে জ্বলে উঠবে মাস্কের অভ্যন্তরীণ অংশ। রেজরের দাবি, এতে করে “আলোর ব্যাপারটি আমলে না নিয়েও পরিষ্কারভাবে নিজেকে প্রকাশ করা যাবে”।
রেজর আরও জানিয়েছিল, মাস্কের চারপাশে থাকা সিলিকন ফিটিং চেহারাকে আরাম দেবে এবং মাস্ককে মুখে লেগে যাওয়া থেকে বিরত রাখবে। এ ছাড়াও মাস্কের মোটা ‘ইয়ার লুপ’ কানের উপর চাপ কমাবে।
কবে নাগাদ মাস্ক তৈরির কাজে হাত দেওয়া হবে তা এখনও জানাননি রেজর প্রধান নির্বাহী। তবে, প্রতিষ্ঠানটি যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
মিন-লিয়াং টান জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান বুঝতে পেরেছে যে টিকা নেওয়ার পর অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে মানুষ মাস্ক ব্যবহার করতে চাইবেন। এ ছাড়াও অনেক দেশই আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে নিজেদের গোটা জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে পারবে না।
“এ ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো এবং মাস্কের টেকসই দিকটির সমাধান করবো যা আমাদের জন্য অন্যতম বড় একটি ব্যাপারে। প্রজেক্ট হেজল বাস্তবতায় পরিণত হবে। আমরা এটি বাস্তবে রূপ দিবো এবং আমার মনে হয় আমাদের সবাইকে, দূর্ভাগ্যজনকভাবে, আগামীতে দীর্ঘ সময়ের জন্য মাস্ক পরতে হবে।” -বলেছেন রেজর প্রধান মিন-লিয়াং টান।