রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ জানিয়েছে, এ বছর পদকটি প্রথমবারের মতো আবৃত্তিশিল্পী-অভিনেতা গোলাম মুস্তাফাকে মরণোত্তর ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ এ ভূষিত করা হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষার বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীদের প্রতি বছর এ পদক প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এর সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
তিনি জানান, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রতি বছর ৩১ মার্চ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ প্রদান করবে। কিন্তু এ বছর করোনা পরিস্থিতির হঠাৎ অবনতি হওয়ায় আয়োজনটি ২০২১ সালের অক্টোবরে করা হবে।
মোঃ আহ্কাম উল্লাহ্ বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাংলার শ্রেষ্ঠ কবিতা আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই কবিতার মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠ কবি ও আবৃত্তিশিল্পী। তাই, স্বাধীনতার এই মহানায়কের নামে জাতীয় আবৃত্তি পদকটি প্রবর্তন করা হয়েছে।
“জাতীয় পদক প্রবর্তনের অনুমোদন পাওয়ার পর সেই পদক জাতির পিতার নামে প্রদানের জন্য ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রেরও অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। এই ট্রাস্টের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।”
বঙ্গবন্ধুর নামে পদক প্রবর্তনের অনুমতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নেতারা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বেলায়েত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, রেজীনা ওয়ালী লীনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ, মাসুদুজ্জামান, রাশেদ হাসান, কাজী মাহতাব সুমন প্রমুখ।