ক্যাটাগরি

হেফাজতের হরতালে সাড়া নেই চট্টগ্রামে

শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে
প্রাণহানির প্রতিবাদে রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের এই কর্মসূচি দেয় হেফাজতে
ইসলাম।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন চট্টগ্রামের
হাটহাজারী থানা ও সরকারি স্থাপনায় হামলার পর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়।
এরপর থেকে ইটের দেয়াল তুলে, লোহার গ্রিল এবং টিন দিয়ে হেফাজতকর্মীরা রাস্তা আটকে দেয়।

হাটহাজারী বড় মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত দারুল
উলুম ময়নুল ইসলাম মাদ্রাসার সামনে তৃতীয় দিনের মতো সড়কে অবস্থান নিয়ে আছে হেফাজত কর্মীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগের দুই দিনের মতো হেফাজত কর্মীরা সড়কে বসে আছে। নতুন কোনো
পরিস্থিতি নেই। উপজেলার অন্যান্য স্থানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”

এদিকে নগরীতে হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি।
দূরপাল্লার বাস চলাচল কম থাকলেও অভ্যন্তরীন রুটে বাস চলছে স্বাভাবিক।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ)
শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, “নগরীর নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। সকাল
থেকে কোথাও বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।”

তবে দামপাড়া ও একে খান, সিটি গেইট এলাকা
থেকে ঢাকাগামী যান চলছে কম।

আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন বলেন, “সিটি
গেইট এলাকায় কোনো ঝামেলা নেই। যান চলাচলও স্বাভাবিক আছে। কোথাও যান চলাচলে বাধা দেওয়া
হচ্ছে না।”

একে খান এলাকায় একাধিক বাস কাউন্টারে যোগাযোগ
করা হলে তারা জানান, ঢাকার দিকে কয়েকটি জায়গায় ‘ঝামেলার’ কারণে সকালে কয়েকটি বাস গেলেও
আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সকালের দিকে কিছু যাত্রী থাকলেও পরে কমে যায়।

তবে দুপুরের পর থেকে বাস চলা ফের শুরু হতে
পারে বলে তাদের আশা।

এদিকে নগরী থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি রুটের
বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ বোস্তামী
জোন) মো. শাহ আলম বলেন, “অক্সিজেন, বালুচরা এলাকায় যান চলাচলে বাধা দেওয়ার খবর পাওয়া
যায়নি। অক্সিজেন বাস টার্মিনাল এলাকায়ও কোনো পিকেটিং নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পূর্বাঞ্চলীয়
সভাপতি মৃণাল চৌধুরী জানান, অভ্যন্তরীন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। যেহেতু হাটহাজারীর
ওপর দিয়ে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি যেতে হয়, তাই হেফাজতের অবরোধের কারণে ওই পথটি বন্ধ রয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার সড়কে অন্যান্য যান চলাচল
করলেও বাস কম। পটিয়া উপজেলার খরনা এলাকায় পটিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে
বিক্ষোভ করেছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুর
রহমান জানান, “মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা খরনা এলাকায় অবস্থান নিলেও বিশৃঙ্খলা করেনি।
বিভিন্ন স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।”

পটিয়া উপজেলা সড়ক দিয়ে যান চলাচল অন্য স্থানের
চেয়ে কম বলে জানান তিনি।