হ্যামিল্টনে রোববার ৬৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের ২১০ রান তাড়ায়
সফরকারীরা করতে পারে কেবল ১৪৪ রান।
দলের সর্বোচ্চ ৪৫ রান করা আফিফ মনে করেন, ছোট মাঠের সুবিধা নিতে পারলে এই ম্যাচে
জেতা সম্ভব ছিল।
“ব্যাটিংয়ের জন্য আমার
মনে হয়, উইকেট ভালোই ছিল। স্ট্রেটে বাউন্ডারি একটু ছোট ছিল। ওদের ব্যাটসম্যানরা মাঠে
এই সুবিধাটা বেশ ভালোভাবে নিতে পেরেছে।… আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম হয়তো।”
“মাঠ যেহেতু ছোট ছিল,
এধরনের স্কোর অবশ্যই তাড়া করা সম্ভব ছিল বলে আমার মনে হয়। আমাদের ‘ব্যাক টু ব্যাক’ উইকেটগুলো না পড়লে
হয়তো এই রান আমরা তাড়া করতে পারতাম।”
৮ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে অনেক আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। পরে
আফিফ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন কেবল।
ষষ্ঠ ওভারে তিন বলের মধ্যে সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়ে দেন লেগ
স্পিনার ইশ সোধি। পরের ওভারে পরপর দুই বলে বিদায় করেন মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদি হাসানকে।
আফিফ জানান, সোধির এই উইকেটগুলো ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।
“সোধি পরপর উইকেটগুলো
পাওয়ায় আমার পরিকল্পনা ছিল, তাকে বাদ দিয়ে অন্য বোলারদের টার্গেট করা। ওর ওভারগুলো
আমাদের জন্য ব্যাকফুটে যাওয়ার মতো ওভার ছিল।”
শুরুতে মোহাম্মদ নাঈম শেখ একটু ঝলক দেখিয়েছেন। বোলিংয়ে ভালো করেছেন নাসুম আহমেদ।
পরের ম্যাচে এসব ইতিবাচক ব্যাপার নিয়ে যেতে চান আফিফ।
“এখানে আসার পর অনেকদিন
পরে ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে। বেশ কয়েকটা ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছি। যেগুলো আমি আশা
করি সামনের ম্যাচগুলোয় সাহায্য করবে।”
“আমাদের শুরুটাও বেশ
ভালো হয়েছিল। নাঈম শেখ ভালো একটা শুরু করেছিল। তাছাড়া অভিষেক হয়েছে দুজনের। নাসুম খুব
ভালো বল করেছে। বেশ কিছু ইতিবাচক ব্যাপার ছিল ম্যাচে। যেগুলো আশা করি সামনের ম্যাচে
আমাদের সাহায্য করবে।”