ক্যাটাগরি

দুর্নীতির আসামির দেশত্যাগ: রায় স্থগিতের আবেদনের শুনানি নিয়মিত বেঞ্চে

আগামী ৫ এপ্রিল দুদকের
আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রেখে রোববার এ আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি
ওবায়দুল হাসান।

আদালতে দুর্নীতি দমন
কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিটকারী পক্ষে শুনানি
করেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মুন্সী মনিরুজ্জামান।

এর আগে হাই কোর্টের
রায় স্থগিত চেয়ে দুদক আবেদন করলে গত ২২ মার্চ চেম্বার আদালত রোববার আবেদনটি শুনানির
জন্য রেখেছিল।

আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চেম্বার আদালত হাই কোর্টের রায়টি স্থগিত করেননি।
ফলে উচ্চ আদালত যে অভিমত দিয়ে রায় দিয়েছেন সেটি কার্যকর আছে। এখন রিটকারী আতাউর রহমানের
বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিতে হলে বিশেষ জজ আদালত থেকে অনুমতি নিয়েই তা করতে
হবে।”

দুদকের আইনজীবীর ভাষ্য,
“যেহেতু আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির পর্যায়ে আছে, তাই এই বিষয়ে (কারও
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া) কিছু বলা যাচ্ছে না। তাছাড়া হাই কোর্টের রায়টি এখনও আমরা
পাইনি।”

গত বছর ২৪ আগস্ট সম্পদের
তথ্য চেয়ে নরসিংদীর আতাউর রহমানকে নোটিস দেয় দুদক। তিনি তথ্য দাখিল করার পর ২২ অক্টোবর
তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

এই অনুসন্ধান চলাকালে
গত বছর ২০ ডিসেম্বর আতাউর রহমান যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে
চিঠি দেয় দুদক।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ
করে ব্যবসায়ী আতাউর রহমান চলতি বছর রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট
দুদকের নোটিসের বৈধতা প্রশ্নে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করে।

সে রুলটি যথাযথ ঘোষণা
করে গত ১৬ মার্চ রায় দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের
ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ।

রায়ের পর্যবেক্ষণে
বলা হয়, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই।
এ কারণে এ বিষয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি করা প্রয়োজন। যতদিন আইন বা বিধি প্রণয়ন
না হচ্ছে, ততদিন সংশ্লিষ্ট বিশেষ জজ আদালতের কাছ থেকে দুদককে অনুমতি নিতে হবে। তা না
হলে সেটা সংবিধানের লঙ্ঘন।

এ রায়টিই স্থগিত চেয়ে
গত ২১ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে দুদক।