রোববার বিকেলে
সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, “২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন
না করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনকে অজুহাত বানিয়ে দেশ, রাষ্ট্র
ও জনগণের সম্পত্তির ওপর আক্রমণ ও আগুন দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক
অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।
“কোমলমতি
শিশু-কিশোরদেরকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা, রাজনৈতিক হাঙ্গামার মধ্যে ঠেলে তাদের
দিয়ে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অগ্রহণযোগ্য এবং দুষ্কৃতিকারী
মনোবৃত্তি।”
বাংলাদেশের
কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন,
“যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ তাদের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য আপনাদেরকে ব্যবহারের
অপচেষ্টা করছে, ব্যবহার করছে, তাদেরকে বর্জন করুন, তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবেন
না এবং শিশু-কিশোরদেরকে ব্যবহার করবেন না।”
তিনি বলেন,
কওমি মাদ্রাসার কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বহু কাজ করেছেন এবং ইসলামের
খেদমতে তিনি যে সমস্ত কাজ করেছেন অতীতে তা কেউ করেনি।
যারা নিজেদের
আমিরকে হত্যা করার মতো অপকর্ম করে, তাদের হাতে ধর্ম, রাষ্ট্র কোনটাই নিরাপদ নয়’ উল্লেখ
করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন যে, হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমীর মওলানা আহমেদ
শফীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে যে, দলের হাঙ্গামাকারীরা
মওলানা শফীর রাইস টিউব এবং অক্সিজেন টিউব খুলে নিয়েছিল এবং সেই কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।”
বিএনপি প্রসঙ্গে
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতা দিবসে এই হামলা এবং হরতালকেও পরোক্ষভাবে বিএনপি সমর্থন
দিয়েছে আর জামাত সরাসরি সমর্থন দিয়েছে। অর্থাৎ এই নৈরাজ্যের পেছনে বিএনপি-জামাত যে
ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত, সেটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে
খোলাসা করে দিয়েছেন।”
সম্প্রতি
২০ জনের বিবৃতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের উচিত ছিল স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তীর দিন যারা ধর্মের নামে হাঙ্গামা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া।
কিন্তু তারা সেটি না করে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া, ভূমি অফিস, রেল স্টেশন জ্বালিয়ে
দেওয়া, থানা ও সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণকারীদের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।”
তথ্যমন্ত্রী
বলেন, “তারা আর স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বলে নিজেদের দাবি করতে পারেন না, টেলিভিশনের
পর্দায় গিয়ে তারা সুশীল বলে দাবি করতে পারেন না, তারা উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে
মিশে গেছেন। তাই তাদেরকে বুদ্ধিজীবী বলতে লজ্জা হচ্ছে।”