ক্যাটাগরি

জয়পুরহাটে পিলার ভেঙে ঝুঁকিতে সেতু, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

সেতুটির
উপর দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং স্থানীয়দের চলাচলে ভোগান্তি
পোহাতে হচ্ছে। এই অবস্থার উত্তরণে দ্রুত সেতুটির সংস্কার দাবি করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়
সরকার প্রকৌশল অধিদপ্ত-এলজিইডি এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়াসহ এতে গাফিলতির
জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

এলাকাবাসীর
অভিযোগ, তুলশীগঙ্গা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খনন চলাকালে পাঁচবিবি-গাইবান্ধা
সড়কের ফিচকার ঘাট সেতুর তলদেশ থেকে অতিরিক্ত মাটি তোলায় সেতুর একটি পিলার ভেঙে যায়।
ফলে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে তার উপর চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এই
কারণে ওই পথ দিয়ে জেলার সঙ্গে গাইবান্ধা, রংপুর, বগুড়া ও ঢাকার যোগাযোগ বিঘ্নিত
হচ্ছে।  

এলাকাবাসী
এই ভোগান্তির জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি, দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতাকে দায়ী করছেন।

ফিচকার
ঘাট সংলগ্ন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আজাদ বলেন, “যখন তারা [পানি
উন্নয়ন বোর্ড] নদী খনন কর তখন আমরা বলেছিলাম নদীর পাড়ে মাদ্রাসা ও মসজিদ আছে,
সর্বোপরি গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতু আছে, এই এলাকায় যেন বেশি মাটি খনন করা না হয়।
আমরা তাদের অনুরোধও করেছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের কথায় পাত্তা দেয়নি।”

এলাকার
শিক্ষক আহসান হাবিব, ব্যবসায়ী মোকলেসার রহমান, ট্রাক ড্রাইভার মঞ্জুরুল ইসলাম, বাস
চালক শাহিন আলম ও ভ্যান চালক লিটনসহ যানবাহন চালকরা আরও বলেন, এই পথ দিয়ে যাতায়াত
করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ২০/২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে জয়পুরহাট জেলা শহর
হয়ে তারা তাদের যানবাহন নিয়ে চলাচল করছেন, এতে খরচ ও সময় বেশি ব্যয় হচ্ছে।

জয়পুরহাট
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাদেুল ইসলাম বলেন, “প্রকল্পের স্বার্থে
নদীর ব্রিজের আগে একটা রিং বার দিয়েছিলাম, কিন্তু প্রবল পানির তোড়ে সেই রিং বার ভেঙে
ব্রিজের পিলারে আঘাত করে। পুরাতন ব্রিজের পিলারগুলি ইটের গাঁথুনী, তাই পানির তোড়ে পিলারগুলি
ভেঙে গেছে। এতে সেতুর উপর দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি, সেতুর পাশ দিয়ে ডাইভারশন
করে দিয়েছি, আগামী বর্ষার আগে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিব।”

এই
বিষয়ে জয়পুরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলাউদ্দিন বলেন, পানি উন্নয়ন
বোর্ডের অধীনে তুলশীগঙ্গা নদী খননের কাজ হচ্ছিল। এতে ফিচকা ঘাট সেতুটির পিলার ভেঙে
তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে পারে।

“এই
ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গাফিলতির
জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত
করা হয়েছে।”