রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত কয়েকদিন, বিশেষ করে মহান স্বাধীনতা দিবস থেকে শুরু করে গত দুই দিনে ঢাকা, চট্রগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলি, তাণ্ডবের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। আজও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।
“জনগণের এই প্রতিবাদ বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে মানুষ হত্যার মতো হঠকারী সিন্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। পরিস্থিতি শান্ত করার পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে এবং ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে সরকার।”
এ পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বিক্ষোভে গুলির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজ বিক্ষোভরত জনতার ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে মধুপুরের পীর আবদুল হামিদসহ অসংখ্য মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকার সাইনবোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি ও সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। ঢাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে।
“এছাড়া দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভে ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুল হক নুরু, খুলনার যুবদল নেতা কামরুজ্জামান টুকুসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাজিদ হাসান রনি এবং চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা মো. শহীদুজ্জামান ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে।”