রোবটটি নিজে থেকেই চাঁদের গুহায় গড়িয়ে যেতে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচে কী রয়েছে তার ম্যাপিং করতে পারবে। এ কাজে স্টেরিওস্কোপিক ক্যামেরা এবং লাইডার প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ব্যবহার করবে রোবটটি।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সমর্থনে এগোচ্ছে রোবট তৈরির কাজ। এ কাজে হাত দিয়েছে জুলিয়াস-ম্যাক্সিমিলিয়ানস-ইউনিভার্সিটি। প্রকল্পটিকে বলা হচ্ছে, ‘ডেসেন্ট অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন ইন ডিপ অটোনমি অফ লুনার আন্ডারগ্রাউন্ড স্ট্রাকচারস’, সংক্ষেপে ‘ডিএইডিএএলইউএস’।
গোটা বলের আকার হবে ১৮.১ ইঞ্চি। এক ধরনের শিকলের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচের দিকে পাঠানো যাবে এটিকে। বিকিরণ ডসিমিটার এবং তাপমাত্রা সেন্সরের মাধ্যমে চাঁদের গুহা মানুষের জন্য কতোটা প্রতিকূল হবে তা নির্ণয় করবে রোবটটি।
রোবটটি যখন নিজ কাজে ব্যস্ত থাকবে, তখন শেকলটি ওয়াইফাই রিসিভার হিসেবে কাজ করবে।
এখনও পুরো ব্যাপারটিকে বিবেচনা পর্যায়ে রেখেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। আদৌ চন্দ্রপৃষ্ঠে এটিকে নিয়ে যাওয়া হবে কি না তা এখনও অনিশ্চিত। তবে, নিয়ে যাওয়া হলে এটি গুরুত্বপূর্ণ টুল হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছে এনগ্যাজেট।