ক্যাটাগরি

শেষ দিকের গোলে স্পেনের নাটকীয় জয়  

প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে স্পেন। কেভারাৎস্কেলিয়ার গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন ফেররান তরেস। যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোলটি করেন দানি ওলমো।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে গত বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে গ্রিসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল লুইস এনরিকের দল।

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮৯তম স্থানে থাকা জর্জিয়ার মাঠে জয় পেলেও স্পেনের পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না। র‍্যাঙ্কিংয়ের ছয় নম্বর দলটি পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশে শট নিতে পারে ৯টি, এর তিনটি ছিল লক্ষ্যে।

গ্রিসের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে অভিষেক হয়েছিল পেদ্রির। এবার শুরু থেকে খেলা বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার আলো ছড়াতে পারেননি।

ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য করা স্পেন একাদশ মিনিটে পায় প্রথম ভালো সুযোগ। ডি-বক্সের ভেতর থেকে তরেসের বাঁ পায়ের শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক। অষ্টাদশ মিনিটে কর্নারে জর্জিয়ার গুরাম কাশিয়ার হেড দারুণ দক্ষতায় ফেরান স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন।

বারবার আক্রমণে উঠেও প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল স্পেনের খেলোয়াড়রা। বিরতির আগে তাদের চমকে দিয়ে এগিয়ে যায় জর্জিয়া। সতীর্থের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের নিচু শটে গোলটি করেন কেভারাৎস্কেলিয়া।

প্রথমার্ধে প্রায় ৮০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে স্পেন গোলের উদ্দেশে শট নিতে পারে মাত্র তিনটি, লক্ষ্যে ছিল কেবল তরেসের শুরুর দিকের ওই শট।

৫৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার ক্রসে ব্যাকহিল ফ্লিকের চেষ্টায় পা ছোঁয়াতে পারেননি আলভারো মোরোতা। সেদিকে কিছুটা এগিয়ে ছিলেন গোলরক্ষক। পেছন দিকে ছুটে গিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড তরেস।

এরপর প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রাখলেও সুবিধা করতে পারছিল না স্পেন। শঙ্কা জাগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খাওয়ার। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটের গোলে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা ওলমো।

এই গোলেও অবদান ছিল আলবার। মাঝমাঠ থেকে তার বাড়ানো পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ওলমোর নেওয়া জোরালো শট গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে জাল খুঁজে নেয়। শেষ বাঁশি বাজার আগে পেদ্রিকে বিপজ্জনক ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন জর্জিয়ার লেভান শেনগেলিয়া।

নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী বুধবার ঘরের মাঠে কসোভোর বিপক্ষে খেলবে স্পেন।