নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করে যে কেউ ত্রাণ সহায়তা চাওয়ার
পাশাপাশি ত্রাণ দিতে ইচ্ছুকরাও সহায়তা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী
কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনীক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, করোনাভাইরাস
পরিস্থিতিতে কর্মহীনদের ত্রাণ সহায়তা দিতে এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে।
“০৩১-৬১১৫৪৫, ০১৮২১৬৪০৯৫৩ এই দুইটি নম্বরে ফোন করে যাদের
ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন তারা সহায়তা চাইতে পারবেন। পাশাপাশি যারা ত্রাণ সহায়তা দিতে ইচ্ছুক
তারা আমাদের মাধ্যমে কিংবা নিজেরা ত্রাণ দিতে চাইলে সহায়তা নিতে পারবেন।”
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনীক বলেন, “বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ
দেওয়া হলেও অনেকে নাও পেতে পারে। এ ধরনের কোনো পরিবার কিংবা এলাকা থাকলে নিয়ন্ত্রণ
কক্ষে জানালে আমরা দ্রুত তাদের সহায়তার ব্যবস্থা করব।”
এছাড়া মধ্যবিত্ত অনেকের মধ্যে অভাব থাকলেও সামাজিক পরিস্থিতির
কথা বিবেচনা করে কাউকে প্রকাশ করতে পারেন না। এ ধরনের কেউ থাকলে তারা যদি যোগাযোগ করে
সম্পূর্ণ পরিচয় গোপন রেখে তাদেরও এ সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান অনীক।
মধ্যবিত্ত পরিবারের
পাশে সিএমপি
গরিব ও অসহায় পরিবারের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে
দাঁড়াচ্ছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।
নগর পুলিশর উত্তর, দক্ষিণ, বন্দর ও পশ্চিম জোনের অধীনে
১৬টি থানায় যোগাযোগ করে তারা ত্রাণ সহায়তা চাইতে পারবে বলে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো
হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর
রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “সবকিছু ছুটি থাকায় অনেকের আয় রোজগার বন্ধ
হয়ে গেছে। আবার অনেকেই বেতনও পাননি। এতে করে অনেকের দৈন্দিন বাজার করাও কষ্ট সাধ্য
হয়ে পড়েছে।
“তবে মানসম্মানের কথা চিন্তা করে তারা বিষয়টি কাউকে বলতে
পারেন না। সেজন্য নিজেদের অর্জিত সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
“তারা যেন নিজেদের অর্জিত সম্পদ বিক্রি কিংবা বন্ধক রেখে
টাকা সংগ্রহ করে বাজার করতে না হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের সহায়তা করা হবে।
এক্ষেত্রে তাদের সামাজিক মর্যাদা রক্ষার দায়িত্বও পুলিশ নিয়েছে।”
তাদের সহযোগিতার কথা সম্পূর্ণ গোপন রাখার পাশাপাশি কেউ
যেন সন্দেহ না করে সেজন্য বিশেষ ব্যাগে করে এই ত্রাণ দেওয়া হবে বলে জানান উপ-কমিশনার
রউফ।