বাঘাইছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন খান জানান, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাবুপাড়া এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিশ্বমিত্র চাকমা (৩৫) ওই এলাকাবার বাসিন্দা।
ওসি বলেন, “এমএন লারমা গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিরোধে বিশ্বমিত্র মারা গেছেন বলে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।”
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনরা মামলা করবেন। মামলার পর পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানান ওসি।
দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বলেন, বিশ্বমিত্র তাদের দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
“তাকে আমাদের দলেরই সুজন নামে এক কর্মী গুলি করলে
তিনি মারা যান। সুজন গোপনে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সঙ্গে আঁতাত করেছে যা আমরা জানতাম না। সুজন বিশ্বমিত্রকে গুলি করে হত্যার পর সন্তু লারমার দলে যোগ দিয়েছি বলে জেনেছি।”
তবে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা দাবি করেছেন, তারা সুজনের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
“এটা তাদের (এমএন লারমা) আভ্যন্তরীণ বিষয়।”