বুধবার দুপুরে চার আসামির উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচাররক সাবিনা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, রেজাউল করিম পলাশ (৩০)।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন, নিহতের স্ত্রী রিক্তা বেগম (২৫), ইমরান হোসেন (২০) ও মাসুম (২৪)।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জাসমিন আহম্মেদ জানান, পোশাক কারখানার শ্রমিক আমিনুল ইসলাম কালুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দায়ে রেজাউল করিম পলাশ নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া আরেকটি ধারায় আদালত তাকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার অপর তিন আসামি নিহতের স্ত্রী রিক্তা বেগমসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ত্রিশ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
তিনি আরও জানান, নিহত আমিনুল ইসলাম কালু পোশাক কারখানর শ্রমিক ছিলেন। তাদের সংসারে সাত বছরের ছেলে রয়েছে।
আমিনুল ও তার স্ত্রী রিক্তা বেগম মেস চালাতেন। সেই সুবাধে রেজাউল করিম ওরফে পলাশ (৩০) মেস থাকতেন। এক পর্যায়ে পলাশের সাথে রিক্তার পরোকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে রেজাউল করিমকে তাদের মেসে থাকতে বারণ করা হয়।
২০১৯ সালের ১ মার্চ রাত ১০টায় রিক্তা নিহতের বড় ভাইকে ফোন করে জানান, আমিনুলকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না, তার ফোন বন্ধ।
পরদিন ২ মার্চ ৯টার দিকে সোনারগাঁ ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পাড়ে আমিনুলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের আমিনুলের বড় ভাই সামসুল হক বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।
সেই মামলায় পুলিশ চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে আদালতে। ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করে বলেন তিনি।