বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে,
এসব জেলায় সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়েছে। এক সপ্তাহে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলার তালিকায়
যোগ হয়েছে আরও ২৪টি।
তবে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,
২৯টি জেলা করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
সে হিসেবে দুদিনে ঝুঁকিপূর্ণ জেলার
তালিকায় আরও দুটি জেলা যোগ হলো।
এক সপ্তাহ ধরে যেসব জেলায় শনাক্তের
গড় হার ১০ শতাংশের বেশি, সেগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই
৩১টি জেলায় গড় শনাক্তের হার ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে।
এই তালিকার শীর্ষে আছে মৌলভীবাজার।
তারপর রয়েছে মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট।
তালিকায় থাকা অন্য জেলাগুলো হচ্ছে-
নরসিংদী, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর,
কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, রাজশাহী, বগুড়া, নড়াইল, নীলফামারী, গাজীপুর, ফরিদপুর,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মাদারীপুর, নওগাঁ, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, নাটোর, টাঙ্গাইল এবং কক্সবাজার।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ
ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, একটি জেলায় এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা করে যত শনাক্ত হয় সেই
শনাক্তের সেই হার অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
“এসব জেলায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা
করা হয় তার শনাক্তের হার ১০ শতাংশের উপরে থাকলে সেসব জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়।
প্রতিটি জেলায় এগুলো করা হয়েছে। এসব জেলায় শনাক্তের হার ১০ থেকে ২০ এর মধ্যে। এই তালিকা
প্রতি সপ্তাহে আপডেট করা হবে।”
আলমগীর জানান, সম্প্রতি নতুন করে
সংক্রমণ বৃদ্ধি শুরু হলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম উচ্চ ঝুঁকিতে ছিল। পরে বাকি জেলাগুলো যোগ
হযেছে।”
দেশে করোনাভাইরাস দ্রুত বাড়ছে। গত
২৫ মার্চ থেকে ৩১ শে মার্চ এই সাতদিনেই শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৪৮৭ জন। দৈনিক গড়ে সাড়ে
চার হাজারের বেশি।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছে
৯ হাজার ৪৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জন।