ক্যাটাগরি

বাংলাদেশের আয়োজনে ডি-৮ সম্মেলন শুরু ৫ এপ্রিল

চার দিনের এ সম্মেলনের শেষ দিন ৮ এপ্রিল জোটের শীর্ষ নেতাদের
বৈঠক হবে বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, এবারের শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করার পাশাপাশি
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ডি-৮ দেশের রাষ্ট্র
বা সরকারপ্রধানরা সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।

বাংলাদেশ ছাড়া জোটের অন্য দেশগুলো হল মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান,
মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি তুরস্কের
কাছ থেকে সভাপতির দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ, এর মেয়াদ থাকবে পরবর্তী দুই বছর।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি
বলেন, “ঐতিহাসিক এই মাহেন্দ্রক্ষণে সভাপতিত্ব লাভ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে
বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা তুলে ধরার নতুন দ্বার উন্মোচন এবং বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক
সহযোগিতা সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।”

মোমেন বলেন, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা হিসেবে
৭ এপ্রিল ১৯-তম ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স এবং তার আগে ৫-৬ এপ্রিল ডি-৮ কমিশনের
৪৩তম সেশন হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

কাউন্সিল অব মিনিস্টার্সে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব
দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

তিনি জানান, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসাবে ৫ এপ্রিল
ডি-৮ বিজনেস ফোরাম এবং প্রথম ডি-৮ ইয়ুথ সামিট হবে।

আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প
সহযোগিতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পরিবহন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পর্যটন-
এই ছয়টি ক্ষেত্রে আন্তঃ ডি-৮ সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ আন্তর্জাতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক
বিষয়ে সম্মিলিত নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করা হবে বলে জানান মোমেন।

তিনি বলেন, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে d8dhaka.com নামে
একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে, যেখানে আগামী দুই বছর, অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ার থাকাকালীন
সময়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর
নেতৃত্বে গৃহীত ‘রূপকল্প-২০২১’ এর মাধ্যমে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’
এর মাধ্যমে একটি উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড
গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

”ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন এবং আগামী দুই বছর সভাপতির
দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের এ সকল অভাবনীয় সাফল্যগাঁথা বিশ্বের
দরবারে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে।”