বুধবার
সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের হিড়িভিটা মফিজিয়া তা’লিমূল কোরআন নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায়
আয়োজিত ইসলামী সম্মেলনটিও পণ্ড হয়ে যায়।
উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার
প্রেক্ষিতে এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় মাদ্রাসাটির সম্মেলন সভা স্থগিত করে দেওয়া
হয়েছে।
সম্মেলনকে
কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন। তাদের পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন পূর্বধলা থানার ওসি শিবিরুল
ইসলাম।
স্থানীয়দের
বরাত দিয়ে ওসি শিবিরুল জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান
হিড়িভিটা গ্রামের বাসিন্দা তালুকদার আজাদ, দুলাল তালুকদারের সাথে মাদ্রাসার পরিচালক
উমর ফারুকের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।
দুই পক্ষের
মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে আহুত ইসলামী সম্মেলন স্থগিতের দাবিতে গত ২৯ মার্চ দুলাল তালুকদার
জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।
গত বছরের
৮ ফেব্রুয়ারিও দুই পক্ষ ওই মাদ্রাসা ও এক মসজিদে সভা আহ্বান করলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির
আশঙ্কায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। তাতে দুইটি সভাই পণ্ড হয়ে যায়।
এবারও সম্মেলনকে
কেন্দ্র বিরোধের মধ্যে বিকালে সভা শুরু হলে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের আটজন
আহত হন বলেন তিনি।
সম্মেলন
সভা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসককে দেওয়া চিঠি থেকে জানা যায়, মাদ্রাসার কর্তৃত্ব নিয়ে
এলাকায় দুইটি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে। একপক্ষ রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আধিপত্য বিস্তারের
চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা ৩১ মার্চ ইসলামী সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে দুই পক্ষের
মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে সভা স্থগিত করা প্রয়োজন।
এদিকে,
মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ উমর ফারুক বলেন, ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ সমর্থিত পক্ষের
লোকজন সভা পণ্ডের চেষ্টা চালালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।
“এতে আমাদের
পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক (৬০), খোরশেদ আলী (৫৫) ও মমিন মিয়া (৪৫) আহত হন।”
মাদ্রাসাটি
নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ চলছে স্বীকার জাপা নেতা ওয়াহিদুজ্জামান তালুকদার আজাদ দাবি করেন
তিনি কোনো পক্ষে নেই।
তিনি জানান,
ঘটনার সময় তিনি এক পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় অপরপক্ষ তার উপর হামলা
চালায়।
এতে তিনিসহ
মো. জালাল মিয়া (৩৯), আবু সায়েম (৩২), টিপু সুলতান এবং কামাল মিয়া (৫০) আহত হন। এদের
মধ্যে গুরুতর আহত আবু সায়েমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হয়। বাকি আহতদের পূর্বধলা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলেন তিনি।
দুই পক্ষের
মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।