বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে
এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন আসিফ খান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায়
নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক হাজার ১১৫ জনের, এর মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে ২৮৭ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় মারা গেছেন দুইজন।
বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে
জানা গেছে, এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ও ১৪ উপজেলা মিলিয়ে মোট তিন লাখ ৫১ হাজার ৯০টি
নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত পাওয়া যায় ৪০ হাজার ২৮৩ জন।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩২ হাজার ৬২ জন এবং ১৪
উপজেলায় আট হাজার ২২১ জন। এ সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮৮
জন। এক বছরে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দমমিক ৪৩ শতাংশ।
২০২০ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান মেলে। ওই বছরের ২৬ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের নমুনা
পরীক্ষা শুরু হয়।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে,
এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৯ জন।
এর মধ্যে হাসপতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন চার হাজার
৬০৪জন এবং বসায় থেকে সুস্থ ২৯ হাজার ৪৭৫ জন। চট্টগ্রামে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার
৮৫ শতাংশ।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে সংক্রমিত হয় এক হাজার
৮৬৪ জন, আর মার্চ মাসে সংক্রমণের এ সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ১৭৫ জনে।
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসে
সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখি মন্তব্য করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট
আবদুর রব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এবার সংক্রমণের গতি অনেক বেশি।
“এবার বয়স্কদের সঙ্গে তরুণরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের
অনেককে আইসিইউতেও দিতে হচ্ছে, যেটা আগে কম হয়েছে।”
ডা. রব বলেন, “বর্তমান সময়ে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের
পরিবারের অনেকেই একসাথে হচ্ছেন। এছাড়া আক্রান্তদের বেশিরভাগের অতীত পর্যালোচনা করে
দেখা গেছে সামাজিক বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের জটলা থেকেই এ সংক্রমণ ছড়িয়েছে।”
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার আইসিইউতে ১০
জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৬৭ জন রোগী ভর্তি ছিল।