ক্যাটাগরি

গাজীপুরে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষ, আটক ২০

শুক্রবার দুপুরে জুম্মার
নামাজের পর গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তায় এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

হেফাজতের দাবি, অন্তত
২৩ জন হেফাজত সমর্থক আহত হয়েছে।

বাসন থানার ওসি মো.
কামরুল ফারুক জানান, সংঘর্ষে আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে
আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি কামরুল।

এই সময় পুরো এলাকায়
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ
মহাসড়কেও প্রায় আধাঘণ্টা ধরে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ
দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতে ইসলাম সমর্থকরা। এই সময় আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।

এই ঘটনায় শুক্রবার
হেফাজতে ইসলাম সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয়।

হেফাজতে ইসলামের গাজীপুর
জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন খান বলেন, শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয়
বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে  জুম্মার নামাজের
পর গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মসজিদের হেফাজত কর্মী ও হেফাজতপন্থি মুসল্লিরা
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ঈদগাহ ময়দানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্য অবস্থান নেন।

“এ সময় পুলিশ আকস্মিকভাবে
তাদের কর্মীদের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে
দেয়। এতে অন্তত ১৫ জন হেফাজত কর্মী আহত হয়েছেন।”

গাজীপুর মহানগর পুলিশের
সহকারী কমিশনার থোয়াই অং প্রু মারমা বলেন, হেফাজত কর্মীরা চান্দনা ঈদগাহ মাঠে জমায়েত
হতে থাকেন। পরে তারা পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করে।

“এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ
গেলে তাদের উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে কমপক্ষে ৮
জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে মৃদু লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট  নিক্ষেপ করে।”

মুসল্লিরাও পুলিশকে
লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে বলে জানান তিনি।

বাসন থানার ওসি কামরুল
ফারুক বলেন, হেফাজতকর্মী মো. মারুফ মাদানীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল এবং সংঘর্ষে
পুলিশের কমপক্ষে আট সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওই এলাকায় অতিরিক্ত
পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মারুফ মাদানীসহ ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।