ঔপনিবেশিক আমলের এই আইন ভাঙার মামলাটিই সামরিক শাসনবিরোধী গণতন্ত্রপন্থি এ নেত্রীর বিরুদ্ধে আনা সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এই আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে সু চির ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
বৃহস্পতিবার তার প্রধান আইনজীবী খিন মং জাও টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, এক সপ্তাহ আগে ইয়াঙ্গনের একটি আদালতে সু চি, তার পদচ্যুত মন্ত্রিসভার তিন সদস্য ও অস্ট্রেলিয়ান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শন টার্নেলের বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা আইনের অধীনে মামলা হয়েছে।
দুই দিন আগে তিনি নতুন এই মামলার বিষয়টি জেনেছেন বলে জাও জানান।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্রকে ফোন করা হলেও তিনি কলের উত্তর দেননি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সামরিক জান্তা এর আগে সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ছোটখাটো অপরাধের মামলা করেছিল। তার মধ্যে অবৈধভাবে বিদেশ থেকে ছয়টি ওয়াকিটকি আনা ও বেআইনী যোগাযোগের জন্য সেগুলো নিজের কাছে রাখা এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জারি করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।
১ ফেব্রুয়ারি সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নেয় সামরিক বাহিনী। সু চি ও এনএলডির অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে কারাবন্দি করে সামরিক জান্তা।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডি ‘প্রতারণার মাধ্যমে’বড় ধরনের জয় পেয়েছে বলে অভিযোগ সামরিক বাহিনীর। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই ক্ষমতা দখল করেছে তারা।
আটক করার পর থেকে সু চির বিরুদ্ধে করা একাধিক মামলায় ভার্চুয়ালি তাকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আগের মামলাগুলোর শুনানিতে অংশ নিয়েছেন তিনি।
সেনাঅভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে জান্তাবিরোধী গণবিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ করছে সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সেখানে ৫৩৬ বিক্ষোভকারীর নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১৪ জনকে হত্যা করা হয় গত শনিবার, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে।
আরও পড়ুন:
সু চির স্বাস্থ্য ভালো আছে: তার আইনজীবী
মিয়ানমারে সেনারা ৪৩ শিশুকে হত্যা করেছে: সেইভ দ্য চিলড্রেন
মিয়ানমারে কর্মীদের গ্রেপ্তার, ভীতি প্রদর্শন, আঘাত করা হচ্ছে: রেড ক্রস