র্যাব ১-এর এক সংবাদ জ্ঞিপ্তিতে বলা হয়েছে, লাশ উদ্ধারের পর আঙুলের ছাপ নিয়ে
পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
নিহত কবির হাসান (২২) মিঠাপুকুর থানার কাঁঠালি নয়াপাড়া গ্রামের জাবিউল ইসলাম
ওরফে খলিলের ছেলে। মঙ্গলবার সকালে পার্ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
র্যাব ১-এর স্পেশালাইজড কোম্পানির কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লাশ
উদ্ধারের পরদিন শ্রীপুর থানায় মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে নেমে ঢাকার পল্লবীর বিভিন্ন এলাকা
থেকে তিনজনকে আটক করে র্যাব।
তারা হলেন- ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানার গালিমপুর এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে মাসুদুর
রহমান (৩৭), একই থানার জালালপুর এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. আব্দুল হালিম (৩৬)
ও যশোরের চৌগাছা থানা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. লাল্টু মিয়া (৪১)।
র্যাব কর্মকর্তা মামুন বলেন, “আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির হাসানকে
হত্যা করা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জে একজনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
“তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, দুটি গামছা, পাঁচটি মোবাইল ফোন, দুটি ল্যাপটপ,
একটি ডেস্কটপ, ১১ হাজার ২৩০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের ভিজিটিং কার্ড, ১৫টি বায়োডাটা, ফাঁকা
স্ট্যাম্প, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সিল ও পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।”
নিহত কবিরের বড় ভাই কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, কবিরকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের
গাড়িচালকের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সাড়ে আট লাখ টাকা নেওয়ার পর চাকরির বদলে তাকে
হত্যা করা হয়েছে। তাকে একটি নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়। চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কবির গত
২৫ মার্চ বাড়ি থেকে বের হন। ২৯ মার্চ বিকালে বাবার সঙ্গে কথা হয় কবিরের। এর পর তার
মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।