মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে শনিবার ২০০ মিটার
ব্যাকস্ট্রোকে ২ মিনিট ১৬.১২ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাঁতার শেষ করেন জুয়েল। ২০১৯ সালে জাতীয়
সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে ২ মিনিট ১৬.১৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন তিনি।
২ মিনিট ১৮.৩৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে এ ইভেন্টে রূপা পেয়েছেন বাংলাদেশ
নৌবাহিনীর মামুনুর রশিদ। একই দলের সামিউল রাফি ২ মিনিট ২২.১১ সেকেন্ড সময় নিয়ে পেয়েছেন
ব্রোঞ্জ।
রেকর্ড গড়লেও নিজের টাইমিং নিয়ে সন্তুষ্ট নন জুয়েল।
“করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রস্তুতি বিঘ্নিত হয়েছে। তা না হলে টাইমিংটা
আরও ভালো হতে পারত। তবে বিরূপ পরিস্থিতিতেও আমার সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ
সহায়তা করেছে। এ জন্য আমি কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
“আমার কাছে রেকর্ডের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সোনার পদক। শুরুটা ভালো
হয়েছে। আশা করছি, বাকি ইভেন্টগুলোতে ভালো করব। বঙ্গবন্ধুর নামে আয়োজিত হচ্ছে এবারের
আসর। বিশেষ এ আয়োজনে নিজের প্রথম ইভেন্টে রেকর্ড গড়তে পারাটা ছিল তৃপ্তির।”
ছেলেদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে নাহিদ ৫৬ দশমিক ৭১ সেকেন্ড সময় নিয়ে
রেকর্ড গড়েন। ৫৬ দশমিক ৮২ সেকেন্ডের পুরনো রেকর্ড ছিল নৌবাহিনীর এই সাঁতারুরই, গড়েছিলেন
২০১৯ সালের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে।
মেয়েদের ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে রেকর্ড গড়তে সোনিয়া সময় নেন এক মিনিট
৭ দশমিক ১২ সেকেন্ড। ২০১৯ সালে গড়া আগের রেকর্ড ছিল নৌবাহিনীর আরেক সাঁতারু সোনিয়া
আক্তার টুম্পার, এক মিনিট ৮ দশমিক ৯৫ সেকেন্ডর। রেকর্ড গড়ে সোনা জয়ের পথে নৌবাহিনী
সতীর্থ সোনিয়া আক্তার টুম্পাকেই হারান সোনিয়া খাতুন।
রেকর্ড গড়ার পর প্রস্তুতির স্বল্পতার কথা বলেছেন নাহিদ ও সোনিয়াও।
নাহিদের তো রেকর্ডের প্রত্যাশাই ছিল না।
“এ ইভেন্টে রেকর্ড হবে এমনটা প্রত্যাশা করিনি। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি
স্বাভাবিক ছিল না, এ কারণে আমার প্রস্তুতিও আশানুরূপ ছিল না। তারপরও রেকর্ড হয়েছে এ
জন্য ভালো লাগছে।”