প্যারিসে স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলের ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন জোনাথন ডেভিড।
শেষ দিকে দুই দলই ১০ জনে পরিণত হয়। পিএসজির লাল কার্ড দেখেন নেইমার।
গত ডিসেম্বরে প্রথম দেখায় লিলের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছিল পিএসজি।
পুরো ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য করলেও সুযোগ নষ্ট করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি শিরোপাধারীরা। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকও দারুণ নৈপুণ্যে নেইমার, কিলিয়ান এমবাপেদের সামনে ছিলেন বাধা হয়ে।
সপ্তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ হারান নেইমার। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছে একজনকে কাটিয়ে ক্রস বাড়ান আনহেল দি মারিয়া। ছয় গজ বক্সের সামনে শুয়ে পড়ে নেইমারের নেওয়া বাঁ পায়ের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
পঞ্চদশ মিনিটে এমবাপের প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ। ফরাসি ফরোয়ার্ডের ডি-বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ে নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান তিনি।
২০তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় লিল। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পান অরক্ষিত ডেভিড। কানাডার এই ফরোয়ার্ডের ডান পায়ের জোরালো শট একজনের পায়ে লেগে জাল খুঁজে নেয়।
২৭তম মিনিটে গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় আরেকবার বেঁচে যায় সফরকারীরা। ডি-বক্সের ভেতর জটলা থেকে মোইজে কিনের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন মাইক।
৬১তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেইমারের শট ফেরান গোলরক্ষক। ৬৯তম মিনিটে মার্কিনিয়োসের ক্রসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের হেড লক্ষ্যে থাকেনি। ৭৯তম মিনিটে প্রতিপক্ষের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে লিলের ডিফেন্ডার তিয়াগোর চ্যালেঞ্জে পড়ে যান নেইমার। মাঠের বাইরে তিয়াগোকে ধাক্কা মেরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ছড়ায় উত্তেজনা। পরে তিয়াগোকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি। তাতে অবশ্য জয় নিয়ে ফিরতে সমস্যা হয়নি লিলের।
৩১ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৯ ড্রয়ে লিলের ৬৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে পিএসজি। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে আছে মোনাকো।