ক্যাটাগরি

ভারতে মাওবাদী হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৮ সদস্য নিহত, নিখোঁজ ১৮

শনিবার রাজ্যটির রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুক লড়াই হয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত হলেও মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট জনে দাঁড়িয়েছে বলে রোববার সকালে ছত্তিশগড় পুলিশের নকশাল অভিযান বিষয়ক মহাপরিচালক অশোক জুনেজা জানিয়েছেন।

শনিবার ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর যৌথ দলের দুই হাজার জনেরও বেশি সদস্য পৃথক টিমে ভাগ হয়ে বিজাপুর ও সুকমা জেলা থেকে দক্ষিণ বস্তার অরণ্যে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেছিল। এই এলাকাটিকে মাওবাদীদের শক্তিকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

স্থানীয় সময় দুপুর প্রায় ১২টার দিকে মাওবাদীরা চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করলে দু’পক্ষের মধ্যে তিন ঘণ্টা ধরে বন্দুক লড়াই হয়।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) একটি যৌথ বাহিনীর ওপর মাওবাদী নাকশালরা চোরাগোপ্তা হামলা চালায়।

এ ঘটনায় কিছু সন্দেহভাজন মাওবাদী বিদ্রোহীও নিহত হয়েছেন বলে ভাষ্য পুলিশের।

গত ১০ দিন ধরে রাজ্যটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপিআইয়ের (মাওবাদী) শীর্ষ সদস্য মাদভি হিদমা কোথায় আছেন সে বিষয়ে তথ্য পাচ্ছিল। ২০১৩ সালের ঝিরম ঘাটি হত্যাকাণ্ডসহ বেশ কয়েকটি বড় ধরনের হামলার সঙ্গে হিদমা জড়িত বলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ধারণা।

ঝিরম ঘাটিতে নকশালদের হামলায় ছত্তিশগড় রাজ্য কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাসহ ৩০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।

মাত্র কয়েকদিন আগে রাজ্যটির নারায়ণপুর জেলায় ডিআরজির ২৭ সদস্যকে বহনকারী একটি বাসে মাওবাদীদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য নিহত ও আরও ১৪ জন আহত হয়েছিল।

রাজ্যের কাদেনার থেকে কানহারগাও যাওয়ার পথে মাওবাদীরা বাসটি লক্ষ্য করে আইইডির বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক পেতে রাখার সময় তিন মাওবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাওবাদী হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।