সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করার পর তাতে ১৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এর আগে উদ্ধার করা হয় আরও পাঁচজনের লাশ।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় সাবিত আল আসাদ নামের লঞ্চটি একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। রাতেই সেখান থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া সাবিত আল আসাদ নামের লঞ্চ থেকে উদ্ধার করা যাত্রীদের মরদেহ।
যাদের লাশ পাওয়া গেছে তাদের একজন শিশু আর ১৫ জন নারী। অন্যরা সবাই পুরুষ।
ইউএনও নাহিদা বলেন, স্বজনরা নিখোঁজদের যে তালিকা দিয়েছেন সেই অনুযায়ী আর নয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবি: ৪ লাশ নিয়ে গেলেন স্বজনরা
শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবি: ৫ লাশ উদ্ধার
তবে স্বজনরা জানতে পারেননি এমন আরও কেউ নিখোঁজ থাকতে পারে বলে এলাবাসীর ধারণা।
নিহতদের চারজন হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮)।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।