দ্বিতীয় ডোজ টিকার
জন্য এসএমএস পাঠানো শুরু হওয়ার কথা রয়েছে সোমবার থেকেই। এসএমএসে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী
আগের টিকাদান কেন্দ্র থেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে।
রোববার অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯
ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডিপ্লয়মেন্ট কোর কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে।
বৈঠক শেষে টিকাদান
কার্যক্রম সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
এবং সব পৌরসভার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কোর কমিটির সভাপতি
এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত
এক চিঠিতে এসব দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ৬ এপ্রিল
থেকে দেশজুড়ে টিকা পরিবহন শুরু করতে হবে। টিকা সরবরাহ কাজে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস
সহায়তা করবে। জেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটি নিজ নিজ জেলার টিকা গ্রহণ করবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জানিয়েছে, লকডাউনের সময় টিকা নিতে আগ্রহী ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন কার্ড সঙ্গে নিয়ে আসতে
হবে। কারণ টিকা নিতে আগ্রহীরা এই কার্ড দেখিয়ে রিকশা অথবা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে
পারবেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল
হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে
বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
পরদিন ঢাকার পাঁচটি
হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হয়। সেখানে কোনো জটিলতা
দেখা না দেওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান।
করোনাভাইরাস: টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু ৮ এপ্রিলেই
যারা জানুয়ারির ২৮
তারিখে প্রথম টিকা নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজ নেবেন ২৮ মার্চ। আর যারা ৭ ফেব্রুয়ারি
প্রথম টিকা নিয়েছেন, তাদের ৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
৫ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে
৫৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৪ জন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
হাতে এখন পর্যন্ত এক কোটি এক লাখ ডোজ টিকা মজুদ আছে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের
কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত ৫
নভেম্বর চুক্তি করে বাংলাদেশ।
ওই চুক্তি অনুযায়ী
প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। সে
অনুযায়ী জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এলেও বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সরবরাহ সঙ্কটের
মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়।
এছাড়া ভারত সরকারের
উপহার হিসেবে দুই দফায় ৩২ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে টিকা এসেছে এক কোটি দুই
লাখ ডোজ।
সময়মতো টিকা না আসায়
টিকাদান কার্যক্রম চলবে কিনা সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার
আরও ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দুই-একদিনের মধ্যে পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।