সোমবার বাজারের আলহাজ ক্লথ স্টোরে এই অভিযান পরিচালনা করছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম।
একই সঙ্গে দাবিতে শহরে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে সোমবার থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া সব দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ থাকবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লকডাউনে কাপড়ের দোকান খোলা থাকায় জরিমানা করতে আসেন প্রশাসনের লোকজন। এ সময় ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েন তারা।
এর কিছুক্ষণ পর দোকান খোলা রাখার দাবিতে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে বস্ত্র ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। কয়েকশ লোক মহাসড়কসহ করতোয়া সতুর উত্তর প্রান্তে বাঁশ ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বিক্ষোভকারীরা সড়কে আগুন জ্বেলে মিছিল করতে থাকে। এ সময় সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েন।
বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির শহিদুল ইসলাম খান বলেন, “ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আমাদের এক দোকান মালিকের বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের নামে যেন মামলা না হয় আমরা সম্মিলিতভাবে সেই চেষ্টা করছিলাম।”
সবাই একসঙ্গে সড়কে থাকার কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় দাবি করে তিনি বলেন, বহিরাগত কিছু লোক সড়ক অবরোধ করে। বস্ত্র মালিক ও কর্মচারীরা এতে জড়িত ছিল না।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, “ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। দোকান খোলা রাখার দাবি নিয়ে সড়কে বিশৃঙ্খলা না করে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলতে পরামর্শ দিয়েছি। তারা পরামর্শ মেনে নিয়েছেন।”