বিবিসি জানায়, টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত দুই ঘণ্টার ওই প্রশ্ন-উত্তর পর্বে ইমরান খানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যৌন নিপীড়ন বন্ধে তার সরকার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে?
উত্তরে তিনি প্রথমে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের নিন্দা করেন। এক পর্যায়ে বলেন, ‘অশ্লীলতা বেড়ে যাওয়ার’ ফল হচ্ছে যৌন নৃশংসতা। এজন্য তিনি ভারত, পশ্চিমা ও হলিউডের সিনেমাকে দায়ী করেন।
বলেন, ‘‘পাকিস্তানের নারীদের উচিত প্রলোভন প্রতিরোধ করা। কারণ, সবার নিজেকে সংবরণ করার ইচ্ছাশক্তি থাকে না। তাই নারীদের পর্দা করা উচিত।”
মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইমরানের এ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ‘ধর্ষণ কে ক্ষমার চোখে’ দেখতে চাচ্ছেন। নিজের মন্তব্যের জন্য তারা ইমরান খানকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন এবং এ দাবির পক্ষে কয়েকশ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যা বলেছেন সেটা আদতে ভুল, অসহনশীল এবং বিপজ্জনক। তার এ বক্তব্য সরাসরি ধর্ষণের পক্ষে প্রচারণা এবং এটি ধর্ষণের মত অপরাধকে উস্কে দেবে।”
ইমরান খানের ওই মন্তব্যের পর সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।
Utterly disappointed but not the least bit surprised at the archaic stance IK took on rape. It’s hard enough being a woman in this country, we’ve seen how easily the victim is blamed and your PM just validated this backward thinking men have. We honestly deserve better than this.
— Hadeel Obaid (@hadouken51) April 6, 2021
Anyone blaming clothes and not the rapist is a rape apologist.
— Saadia Ahmed (@khwamkhwah) April 4, 2021
নারীদের নিরাপত্তা ও সমতার বিচারে বিশ্বের সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি পাকিস্তান।
সেখানে তথাকথিত ‘অনার কিলিং’ এর নামে পরিবারের সদস্যরাই নারীদের নির্যাতন, ধর্ষণ এমনকি হত্যাও করে।