ক্যাটাগরি

টেক্সাস হত্যাকাণ্ড: জানাজা শেষে তৌহিদ পরিবারকে শেষ বিদায়

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যে ডালাস সিটি সংলগ্ন এলেন সিটির অদূরে ডেন্টন মুসলিম গোরস্থানে বৃহস্পতিবার বিকালে দাফন করা হয় তৌহিদ পরিবারের পরিবারের ৬ সদস্যকে।

শোকে স্তব্ধ বাঙালি কমিউনিটির সঙ্গে জানাজা এবং দাফনে স্থানীয় বাসিন্দারাও সামিল হন। এলেন ইসলামিক সেন্টারে ৬ জনের জানাজা শেষে কফিনবাহী গাড়িকে স্কর্ট করে গোরস্থান পর্যন্ত নিয়ে যায় এলেন সিটির পুলিশ।

ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তৌহিদ পরিবারের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম। তিনি মৃতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং স্বজনের প্রতি সহমর্মিতা জানান।

গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর রাতে এলেন সিটির বাসা থেকে তৌহিদুল ইসলাম (৫৪), তার স্ত্রী আইরিন ইসলাম (৫৬), মেয়ে পারভিন তৌহিদ (১৯), শাশুড়ি আলফাতুন্নেসা এবং দুই ছেলে তানভির (২১) ও ফারহানের (১৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ফারহানের ইন্সট্রগ্রাম পোস্ট-এর উল্লেখ করে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, বিষন্নতায় আক্রান্ত ফারহানের পরামর্শে বড়ভাই তানভির রাজি হয় পরিবারের সবাইকে হত্যার পর নিজেরাও আত্মহত্যা করবে। এরপরই প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক এবং পুলিশ জানিয়েছে, তৌহিদ, তার স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়িকে দুই রাউন্ড করে গুলিতে হত্যা করা হয়েছে। আর ফারহান ও তানভিরের জন্য এক রাউন্ড করে বুলেট ব্যবহার করা হয়।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা তৌহিদ ডিভি লটারিতে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে এসে কয়েক বছর নিউইয়র্কে কাটিয়ে ৮ বছর আগে চলে যান এলেন সিটিতে। পেশায় ছিলেন সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা। দুই ছেলে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ছাত্র ছিলো। একমাত্র মেয়ে বৃত্তি নিয়ে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে পড়ছিল।

এর আগে নিহতদের স্মরণে বুধবার সন্ধ্যায় এলেন সিটির সেলিব্রেশন পার্কে ‘মোমবাতি প্রজ্জ্বালন কর্মসূচি’তে সিটি মেয়র কেন ফাকসহ দু’শতাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!