দেশটিতে এ ধরনের ক্ষেত্রে এর আগে কখনোই এত বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়নি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
তবে বিশাল অংকের এ জরিমানাও আলিবাবার গায়ে লাগার কথা নয়। তাদেরকে যে টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে, তা তাদের ২০১৯ সালের আয়ের ৪ শতাংশের কাছাকাছি।
গত কয়েক বছর ধরে চীন তাদের দেশি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে; তারই ধারাবাহিকতায় আলিবাবাকে এ জরিমানা করা হয়েছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
এই ই-কমার্স জায়ান্টের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা গত বছরের অক্টোবরে চীনের বাজার ব্যবস্থাপনার কঠোর সমালোচনা করেছিলেন; এরপর থেকেই এ বিলিয়নেয়ারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে বিস্তৃত তদন্ত শুরু হয়।
ডিসেম্বরে চীনের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসএএমআর আলিবাবার বিরুদ্ধে ব্যবসায় একচেটিয়া আধিপত্য নিশ্চিতে ‘অন্যায্য চর্চার’ অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নামে।
ওই তদন্তের কেন্দ্রে ছিল একচেটিয়া ব্যবসার মনোবৃত্তি থেকে করা ‘দুটোর মধ্যে একটা বেছে নাও’ চর্চা। এতে মার্চেন্ট বা বিক্রেতাকে আলিবাবার সঙ্গে যে বিশেষ সহযোগিতা চুক্তি করতে হত, তা তাদেরকে অন্য প্ল্যাটফর্মে পণ্য দেওয়া থেকে বিরত রাখত।
তদন্ত শেষে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আলিবাবাকে ১৮০০ কোটি ইউয়ান (২৭৫ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা) জরিমানা করে।
নভেম্বরে চীনের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আলিবাবার শাখা প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট গ্রুপকে তাদের শেয়ার বাজারে নিবন্ধন স্থগিত রাখতেও বাধ্য করেছিল।
আলিবাবাকে জরিমানা করা হলেও অ্যান্ট গ্রুপের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।