আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ২-১ গোলে হারে কুমানের দল। এই হারে কঠিন হয়ে পড়েছে কাতালান ক্লাবটির শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথ।
ম্যাচের শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকা বার্সেলোনার দুটি পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। দুইবারই স্বাগতিক ডিফেন্ডার ফেরলঁদ মঁদির চ্যালেঞ্জে পড়ে যান সফরকারী দলের বদলি ফরোয়ার্ড মার্টিন ব্রাথওয়েট।
বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুমান।
স্প্যানিশ নেটওয়ার্ক মুভিস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেনাল্টি না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন কুমান।
“আপনি যদি বার্সেলোনার সমর্থক হন এবং ম্যাচটি দেখে থাকেন তাহলে রেফারির দুটি সিদ্ধান্তে খুবই বিরক্ত হবেন। এটা একবারে পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। এরপর তিনি যোগ করা সময় দিয়েছেন কেবল চার মিনিট।”
গত অক্টোবরে আসরের প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হারের পরও রেফারির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এই ডাচ কোচ।
“আবারও আমাদের এটা কেবল মেনেই নিতে হবে এবং চুপ থাকতে হবে।”
করিম বেনজেমার গোলে স্বাগতিকরা এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন টনি ক্রুস। বার্সেলোনার একমাত্র গোলটি করেন অস্কার মিনগেসা। লিওনেল মেসির নেওয়া একটি কর্নার দূরের পোস্টে বাধা পায়। ম্যাচের শেষ মিনিটে তরুণ মিডফিল্ডার ইলাইশ মোরিবার শট বাধা পায় ক্রসবারে।
এই ম্যাচের রেফারি হেসুস জিল মানসানোকে নিয়ে বার্সেলোনার অভিযোগ বেশ পুরোনো। স্প্যানিশ এই রেফারির বিরুদ্ধে গত বছর একবার লিখিত অভিযোগও করেছিল তারা।
শুরুতে ক্লাসিকোয় রেফারি ছিলেন না মানসানো। পেশির চোটে আন্তোনিও মাতেও লাহোস ছিটকে যাওয়ায় দায়িত্ব পান তিনি।
বল দখলের লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার কাসেমিরো ও বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি।
রেফারির উপর ক্ষোভ থাকলেও হারের জন্য প্রথমার্ধে দলের বাজে পারফরম্যান্সকে দায়ী করছেন কুমান।
“প্রথমার্ধে আমরা আক্রমণ বা রক্ষণ কোনো জায়গায় ভালো খেলিনি। দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভালো খেলেছি।”
বার্সেলোনা পেনাল্টি না পাওয়াতেই যে রিয়াল জিতেছে, এমনটি মানতে নারাজ জয়ী কোচ জিনেদিন জিদান। তার মতে, দল প্রাপ্য জয়ই পেয়েছে।
“নিজেদের পারফরম্যান্সে আমাদের খুশি হওয়া উচিত এবং আপনি বলতে পারেন না যে সবকিছু কেবল রেফারির জন্যই হয়েছে। জয় আমাদের প্রাপ্য।”
“রেফারি যদি বলে থাকেন এটা পেনাল্টি ছিল না, তাহলে ছিল না। আমাদের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মাঠে আমরা কী করলাম। আমাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত এরপর কিছুটা ভুগেছি কারণ বার্সেলোনা অসাধারণ একটা দল। তবে আমাদের তৃতীয় গোলের ভালো সুযোগ ছিল। শেষ পর্যন্ত জয়টা প্রাপ্যই ছিল।”
রিয়ালের জয়ে তিনে নেমে গেছে বার্সেলোনা, ৩০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬৫। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে শিরোপাধারী রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্টও রিয়ালের সমান ৬৬।