ক্যাটাগরি

‘প্রস্তুতির ঘাটতি’ নিয়ে আরেকটি সিরিজে বাংলাদেশ

নিউ জিল্যান্ডে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলে আসা ক্রিকেটারদের জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডে খেলানোর একটা ভাবনা ছিল। যদিও সেটা কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিলই। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দ্বিতীয় রাউন্ড শেষেই স্থগিত হয়ে গেছে টুর্নামেন্ট। 

ব্যক্তিগত কারণে নিউ জিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছুটি নেওয়া তামিম ইকবাল খেলেননি জাতীয় লিগে।   

এবারের আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারত সফরেও টেস্ট দলের প্রস্তুতিতে ছিল ঘাটতি। সেবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাড়তি মনোযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর টেস্টের জন্য তেরি হওয়ার যথেষ্ট সময়ই ছিল না। দুই টেস্টেই হোয়াইটওয়াশড হয় মুমিনুলরা, দুটি ম্যাচই শেষ হয়ে যায় আড়াই দিনে।

সেই সিরিজের পর গত বছর পাকিস্তানে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। পরে প্রস্তুতিতে ঘাটতির কথা স্বীকার করেছিলেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

ভারত ও পাকিস্তানে ছিল না কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ। এবার শ্রীলঙ্কায়ও নেই কোনো সত্যিকারের প্রস্তুতি ম্যাচ। কেবল নিজেদের মধ্যে ভাগ করে একটি দুই দিনের ম্যাচ খেলবে দল, যেসব ম্যাচে লড়াইয়ে আবহ যথেষ্ট থাকে না কখনোই।

দুটি টেস্ট খেলতে সোমবার কলম্বোর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এর আগের দিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বললেন, দলের প্রস্তুতি এবার দুইরকম।

“ করোনাকালে আপনি হয়তো খুব বেশি প্রস্তুতি ওইভাবে নিতে পারবেন না। কিন্তু যেভাবে দরকার, আমার মনে হয়, আমরা নিতে পারছি। যারা ওয়ানডে খেলে, ওদের জন্য একটু কঠিন, কারণ তারা খেলে এসেছে (নিউ জিল্যান্ডে)। কিন্তু যারা শুধু টেস্ট খেলে, তারা দুইটা চার দিনের ম্যাচ খেলেছে, লাল বলে অনুশীলন করেছে। যারা নিয়মিত খেলে, তাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হয়েছে।”

“আমি বলব না যে, খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। যারা লাল বলে খেলেছে, তাদের জন্য প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে। যারা সাদা বলে খেলছে, তারা অনেক দিন ধরে খেলছে। জানে কীভাবে (লাল বলে মানিয়ে নিতে) কী করতে হয়। আর মাঝেমধ্যে মানসিকভাবেও বিষয়গুলো মানিয়ে নিতে হয়। তারা হয়তো এটা জানে কীভাবে মানিয়ে নিতে হবে। এটাই মাঝেমধ্যে করতে হবে।”

সবশেষ ৯ টেস্টের আটটিই হেরেছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে সবশেষ পাঁচ টেস্টে পেয়েছে ইনিংস ব্যবধানে হারের তেতো স্বাদ। একটি জয় পেতে তাই মরিয়া মুমিনুল। যদিও শ্রীলঙ্কায় কাজটি হবে কঠিন, জানেন অধিনায়ক।

“শ্রীলঙ্কা কিন্তু দেশের মাটিতে সবসময় খুব ভালো দল। আমাদের জন্য সহজ হবে না, অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা এখন যে পরিস্থিতিতে আছি, এখান থেকে বের হতে ওই চ্যালেঞ্জটাকে নিতে হবে। আর ওই চ্যালেঞ্জটা পার করে টেস্ট দলের একটা ভালো ফল করতে হবে।”

“আমাদের একটা ভালো ফল দরকার। আমরা অন্তত পাঁচ-ছয়টা টেস্ট ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের একটা ইতিবাচক ফল দরকার।”

শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তিন দিন ঘরবন্দি কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে। এরপর অনুশীলনের সুযোগ মিলবে, তবে থাকতে হবে জৈব-সুরক্ষা বলয়েই। দুই ম্যাচের সিরিজ শুরু ২১ এপ্রিল থেকে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৯ এপ্রিল।