রোববার ‘রুরাল টু গ্লোবাল ই-কমার্স পলিসি
কনফারেন্স ২০২১’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি
বলেন, “শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে
একদিন ব্যবসা মানেই হবে ডিজিটাল ব্যবসা। এমন একদিন আসবে, যখন কোনোকিছুই ডিজিটাল ছাড়া
থাকবেনা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কিংবা পঞ্চম প্রজন্মের সেতুতে উঠতে হলে এটাই অনিবার্য
ঠিকানা। ই-কমার্স হবে ডিজিটাল হাইওয়ে নির্মাণের অন্যতম উপাদান। এখন আমাদেরকে ডিজিটাল
হাইওয়েতে আরও অগ্রসর হতে হবে উন্নতি বিশ্বের দিকে এগিয়ে যেতে।”
মন্ত্রী বলেন, “করোনাকালে ডিজিটাল কমার্স
তৃণমূল পর্যায় পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছে। তরুণ প্রজন্ম ই-কমার্সের হাত ধরেই একদিন উন্নতির
শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।”
অনুষ্ঠানে তিনি ডাক বিভাগের ডিজিটাইজেশনের
ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআইর ই-কমার্স
হেড রেজওয়ানুল হক জামি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অনলাইন ক্রেতার
৮৮ শতাংশ শহরে এবং ১২ ভাগ ক্রেতা বাস করে গ্রামে। তবে একটা ইতিবাচক দিক হল গ্রাম থেকে
পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত যে টাকা আসে তার ২৩% অগ্রিম। মানে এক্ষেত্রে সিওডি কম।”
তিনি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহজ উপায়ে
নথিভুক্তকরণ ও পেমেন্ট সেবা বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে বিভিন্ন দেশের উদাহরণ তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথি ই-ক্যাবের উপদেষ্টা এবং
সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, “ই-কমার্সের ব্যাপারে যেসব পরামর্শ রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের
জন্য অ্যাকশন প্লান তৈরি করতে হবে।”
ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “প্রযুক্তি
এত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য লাভ করতে হলে প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরের
সমন্বয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আফজাল হোসেন
বলেন, “প্রযুক্তি ও প্রাইভেট সেক্টর যুক্ত হলে পোস্ট অফিসের সেবা ই-কমার্সের সহায়ক
হবে। সরকার ডাক বিভাগকে আধুনিকায়ন করার যে কাজ হাতে নিয়েছে তাতে সামনের দিনগুলোতে আমরা
আরও ভালো কিছু করতে পারব।”
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, এনজিও ফাউন্ডেশনের
চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্যাহ আল মামুন, বিআরটিসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ
প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সিরাজ উদ্দীন,
বিডিজবসের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর, ই-ক্যাবের যুগ্ম-সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা,
ই-ক্যাবের পরিচালক সাইদ রহমান, পরিচালক আসিফ আহনাফ, সুন্দরবন কুরিয়ারের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক শেখ তানভীর আহমেদ রনি, ই-ক্যাবের রিসার্চ কমিটির চেয়ারম্যান সাদরুদ্দিন মোহাম্মদ
ইমরান, ধামাকা শপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দীন চিশতী উপস্থিত ছিলেন।