সোমবার সকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে রেকর্ড এক লাখ ৬৮ হাজার ৯১২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে টানা ছয় দিন দেশটিতে এক লাখের বেশি রোগী মিলল। রোববার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রথমবারের মতো দেড় লাখ ছাড়ায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন এই রোগীদের নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে, পেছনে ফেলেছে এক কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি রোগী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলকে। তিন কোটি ১২ লাখেরও বেশি আক্রান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষে আছে।
রোববার মহামারীতে ভারতে আরও ৯০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, এতে মৃতের মোট সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর পর ভারত চতুর্থ স্থানে আছে।
মহামারীতে আক্রান্ত ভারতীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে মহারাষ্ট্র শীর্ষে আছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ৬৩ হাজার ২৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত ও ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে।
চলতি সপ্তাহেই স্থানীয় সরকার রাজ্যটিতে সর্বাত্মক লকডাউন জারি করতে পারে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের পর শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যায় শীর্ষে থাকা অপর রাজ্যগুলো হল কেরালা, কর্নাটক, তামিল নাডু ও অন্ধ্র প্রদেশ।
মহামারীতে পর্যুদস্ত হওয়ার পরও ভারতে এখনো নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে লোকজন ভিড় করছেন। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বলাই নেই। উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হরিদ্বারে গঙ্গা নদীর তীরে কুম্ভ মেলায় ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ লোকে এসে জড়ো হয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম বড় এই ধর্মীয় মেলায় কোভিড-১৯ জনিত বিধিনিষেধের স্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন।
মহামারী পরিস্থিতি দিন দিন আরও নাজুক হয়ে উঠলেও খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। লাখ লাখ লোক তাদের নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চিত্র সেসব সমাবেশে দেখাই যায় না।