ক্যাটাগরি

বৈশাখ শুরুর আগে আরেক দফা তাপপ্রবাহ

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গরমের দাপট চলছে গত কয়েকদিন ধরেই। আর এক দিন বাদে পহেলা বৈশাখ, বাংলা পঞ্জিকায় ১৪২৮ সালের সূচনা।

ঋতুচক্রের নিয়মে গ্রীষ্মে গরম থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে এবার চৈত্র শেষের তাপপ্রবাহ গ্রীষ্মের শুরুতেও অব্যাহত থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার কুমারখালী, চুয়াডাঙ্গা ও রাঙ্গামাটিতে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, এটাই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, দিনাজপুর ও খেপুপাড়াসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ এবং কুমিল্লা অঞ্চলের দুয়েক জায়গায় মঙ্গলবার অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

চলতি মৌসুমে মার্চ-এপ্রিলে অন্তত দুই দফা তাপদাহের দাপট ছিল। এপ্রিলের শুরুতেও দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপদাহ ও কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে যায়।

গত ২১-২৯ মার্চ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ২৩ মার্চ সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেদয়দী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) ও ১-২টি মৃদু তাপপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ (৩৮-৪০ ডিগ্রি) যেতে পারে।