সোমবার
জেলা শহরের ডিবি রোডের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ
মানববন্ধন করে গাইবান্ধা শিল্প ও বণিক সমিতি।
পরে পুলিশ
সুপার কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে স্মারকলিপি দেন তারা।
গত শনিবার
জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) উদ্ধার হয় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানার বাড়ি থেকে। এছাড়া
কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে রানা হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলে পরিবারের অভিযোগ রয়েছে।
মানববন্ধনে
বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, দাদন ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানা, সদর
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবর রহমান, উপ-পরিদর্শক মোশারফ হোসেন এবং উপ-পরিদর্শক মো.
আসাদসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে
বক্তব্য দেন নিহত হাসান আলীর স্ত্রী বিথী বেগম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট
ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম, জেলা সিপিবির সভাপতি মিহির ঘোষ, জেলা দোকান মালিক সমিতির
সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মকছুদার রহমান, গাইবান্ধা শিল্প ও বণিক সমিতির বর্তমান সভাপতি
শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের মোরছেলিন, জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মারুফ ও সাধারণ
সম্পাদক জিয়াউল হক।
এছাড়া বক্তব্য
দেন গাইবান্ধা শিল্প ও বণিক সমিতির সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির
জেলা সভাপতি আবদুর রশিদ সরকার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি রেজাউন্নবী, গাইবান্ধা
নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ দাশ, জেলা ব্যবসায়ী সমন্বয় সমিতির
সভাপতি ইকবাল আহমেদ, মাইক ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া, পাদুকা
ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সভাপতি আলিম মিয়া, জেলা দোকান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ
সম্পাদক চঞ্চল সাহা, সাবেক ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
মানববন্ধন
শেষে ব্যবসায়ীরা মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যান। কার্যালয়ের সামনে কিছু সময়
অবস্থান নেন তারা । এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মতবিনিময়
করেন।