বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ব্যাংকগুলোতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে।
“এছাড়া আনুষঙ্গিক কাজের জন্য আড়াইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।”
বিধি-নিষেধ চলাকালে ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়/প্রধান শাখাসহ সকল অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা ও জেলা সদরে অবস্থিত ব্যাংকের প্রধান শাখা খোলা রাখা যাবে।
সিটি কর্পোরেশন এলাকাধীন প্রতি ২ কিলোমিটারে মধ্যে একটি শাখা (এডি শাখা না থাকলে) খোলা রাখতে হবে।
তাছাড়া এসময় উপজেলা পর্যায়ে কার্যরত প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা বৃহস্পতিবার, রোববার ও মঙ্গলবার খোলা রাখতে হবে।
এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাদে প্রতিদিন আড়াই ঘণ্টা করে দেশের দুই পুঁজিবাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পুঁজিবাজার খোলা থাকবে।”
এক্ষেত্রে আগের মতো শেষের ১৫ মিনিট পোস্ট ক্লোজিং লেনদেন চালু থাকলেও প্রি ওপেনিং সুবিধা থাকবে না।
‘লকডাউনে’ ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা এলেও সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তনের ইঙ্গিত মেলে দুপুরেই।
জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংক খোলার অনুরোধ জানিয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে।
চিঠিতে বলা হয়, “১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির জন্য আদেশক্রমে অনুরোধ জানানো হল।”
এরপরই ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর তা অনুসরণ করে পুঁজিবাজারেও লেনদেন চালুর সিদ্ধান্ত দেয় বিএসইসি।