জে বাইডেনের প্রশাসন শুক্রবার তাইওয়ান বিষয়ক নতুন এক নির্দেশনা জারি করেছে, যাতে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের সাক্ষাতের ক্ষেত্রে থাকা কিছু বিধিনিষেধ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কূটনৈতিক পর্যায়েও ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান লিজিয়ান।
“তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে না খেলতে, যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান কর্মকর্তা পর্যায়ে যে কোনো ধরনের যোগাযোগ এখনি বন্ধ করতে, যথাযথভাবে ও সাবধানতার সঙ্গে বিষয়টি সামলাতে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা আকাঙ্ক্ষীদের ভুল বার্তা পাঠিয়ে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি না করতে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও তাইওয়ান প্রণালীর আশপাশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত না করতে অনুরোধ করছি,” সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন লিজিয়ান।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা তাইওয়ান প্রণালী ঘিরে বাড়তে থাকা উত্তেজনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
ব্লিংকেনের এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রয়টার্সকে দেওয়া এক লিখিত জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ।
“চীনের ১৪০ কোটি মানুষের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না,” যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বেইজিং এমনটাই বলেছে।
মঙ্গলবার চীনের ৪টি জে১৬ যুদ্ধবিমান ও একটি সাবমেরিন বিধ্বংসী এয়ারক্রাফট তাইওয়ানের আকাশ সীমায় চক্কর দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আগের দিন যুদ্ধবিমান, পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বিমানসহ চীনা বিমানবাহিনীর ২৫টি উড়োজাহাজ তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল; এর আগে আর কোনোদিনই চীনের এত যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশে দেখা যায়নি।
তাইওয়ানকে চীন নিজেদের বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাশাসিত এ দ্বীপটিকে সবচেয়ে সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবেও বর্ণনা করে আসছে তারা।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে বেইজিয়ের চাপ সত্ত্বেও ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ত্র বিক্রি ও বিভিন্ন আইন করে তাইপের প্রতি সমর্থনের মাত্রা বাড়িয়েছে।