মঙ্গলবার
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার চরভাটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত রাজু
ওরফে সুজন মোল্যা (২৪) কাশিয়ানীর চরজাজিরা গ্রামের প্রয়াত রকমান মোল্যার ছেলে ও ওই
গ্রামের জিহাদ মোল্যা হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী।
তাকে কাশিয়ানী
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজু সাংবাদিকদের
বলেন, ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চরজাজিরা গ্রামে জিহাদ
খুন হন। এই ঘটনায় ৪২ জনকে আসামি করে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
“ওই মামলার
আমাকে প্রধান সাক্ষী করা হয়। এরপর থেকে মামলার আসামিরা আমাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি
ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল।”
তিনি
বলেন, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা সদরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি তার অসুস্থ স্ত্রী নাজমা বেগম।
তাকে খাবার দিয়ে মঙ্গলবার বিকালে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন।
তিনি
অভিযোগ করেন, চরভাটপাড়া গ্রামে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই গ্রামের কয়েকজন
যুবক তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।
“তারা আমাকে
মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে বাঁশের লাঠি, লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এছাড়া ধারালো
অস্ত্র ‘গুপ্তি’ দিয়ে দুপায়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।”
পরে স্থানীয়রা
এসে উদ্ধার করে তাকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করেন।
এই ঘটনায়
মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সুজন মোল্যা।
কাশিয়ানী
থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, “হামলার ঘটনা শুনেছি। এখনও কেউ এই ব্যাপারে কোনো
অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”