বুধবার নগরীর মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ও চেকপোস্ট দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মামলা ও জরিমানাও করা হয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন প্রান্তের সড়কে দিনভরই অল্প কিছু রিকশা ও সাইকেল চলতে দেখা গেছে। তবে কোনো গণপরিবহন চলেনি।
নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজার, জামালখান, আন্দরকিল্লা, এনায়েতবাজার, কাজীর দেউড়ি, আগ্রবাদাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে।
পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী গাড়ি, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন পরিবহন আর রোগী বহনকারী ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল ছিল।
জিইসি মোড়ে বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়ি দাঁড় করিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র দেখা এবং বের হওয়ার কারণ জানতে চায় ট্রাফিক পুলিশ। মুভমেন্ট পাস ছাড়া চলাচলকারীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
বুধবার রমজানের প্রথম দিনে টিসিবির ট্রাকগুলোতে পণ্যের জন্য লাইন ছিল অন্য দিনের তুলনায় ছোট।
দুই নম্বর গেট এলাকায় টিসিবির ট্রাকে পণ্য কিনতে আসা পরিবহন শ্রমিক সাইফুল আলম বলেন, “আমাদের গাড়িঘোড়া বন্ধ। টিসিবির জিনিসের দাম কম। তাই লকডাউন হলেও কিনতে আসছি। ”
মোড়ে মোড়ে অল্প কিছু রিকশা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও যাত্রীর দেখা পাননি চালকরা।
নগরীতে সকাল থেকেই কোনো দোকানপাট খোলেনি। দুপুরের দিকে মসজিদে নামাজ পড়তে কিছু লোকজন সড়কে বেরিয়ে ছিল।
বিকেলে ইফতার সামগ্রি বিক্রির জন্য বেশকিছু খাবারের দোকান খোলা ছিল। এসব দোকানে লোকজনকে ইফতার কিনতে ভিড় করতেও দেখা গেছে।
দেওয়ানহাট, চৌমুহনী, আগ্রবাদ ও বারেকবিল্ডিং এলাকায় বন্দর সংক্রান্তে কাজে জড়িতদের তথ্য জেনে আবার চলাচল করতে দিতে দেখা গেছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের।
লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি সক্রিয় ছিল জেলা প্রশাসন। নগরীতে জেলা প্রশাসনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন।
জেলা প্রশাসনের অভিযানে ৩৩ মামলায় ১৯ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। বিতরণ করা হয় সাড়ে পাঁচ হাজার মাস্ক।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নগরীর পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, খুলশী, চকবাজার, বায়েজিদ, চান্দগাঁও, সদরঘাট, ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।
“এসময় বেশিরভাগ লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে দেখা গেছে। হাতে গোনা কয়েকটি খাবারের দোকান ও প্রতিষ্ঠান খোলা থাকতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করায় তাদের জরিমানাও করা হয়েছে।”
এমনকি রাতেও লকডাউন বাস্তবায়নে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন বলে জানান তিনি।