গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের বাংলাদেশ স্কোয়াডে ছিলেন সাইফ। প্রথম টেস্টে তিনি একাদশে সুযোগ পাননি। তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন সাদমান ইসলাম। এরপর চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান সাদমান। স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তখন সুযোগ পাওয়ার কথা সাইফের। কিন্তু টেস্টের পরিকল্পনায় না থাকা সৌম্য সরকারকে বিস্ময়করভাবে স্কোয়াডের বাইরে থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ম্যাচ খেলতে। সাইফ থাকেন দর্শক হয়েই।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন তখন বলেছিলেন, অনুশীলনে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি বলেই খেলানো হয়নি সাইফকে।
স্কোয়াডে থাকার পরও যখন ম্যাচ খেলার যোগ্য মনে করা হয় না, আত্মবিশ্বাসে তখন চোট লাগার কথা প্রবল। সাইফ সেই ধাক্কা সামলে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে একদিনের ম্যাচের সিরিজের এক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন। আরও তিন ম্যাচে বড় স্কোর না পেলেও রানের দেখা পান (৪৯, ৩১ ও ৩৬)। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে করেন ৩৬ বলে ৪৮।
এরপর বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট আসর জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে করেন ১২৭, দ্বিতীয় রাউন্ডে ৪২ ও ৬৪।
এই ইনিংসগুলো সাইফকে জোগায় আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি। বাংলাদেশের প্রাথমিক দলের অংশ হয়ে এখন তিনি শ্রীলঙ্কায়। সেখানে কোয়ারেন্টিন শেষে প্রথম দিনের অনুশীলন হলো বৃহস্পতিবার। বিসিবির ভিডিও বার্তায় ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান বললেন, তার অপেক্ষা একটি সুযোগের জন্য।
“ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সময়ও খুব ভালো প্রস্তুতি চলছিল আমাদের। আমরা যারা বাইরে ছিলাম, খুব ভালো অনুশীলন হয়েছে। তারপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যখন খেলেছি, ওখানেও একটা ভালো সিরিজ হয়েছে। এখানে আসার আগে জাতীয় লিগেও খুব ভালো একটা প্রস্তুতি ছিল। সব মিলিয়ে খুব ভালো প্রস্তুতি। আশা করি, ওই পারফরম্যান্সগুলা এখানে কাজে লাগবে।”
“রান করলে অনেক আত্মবিশ্বাস থাকে। আর ব্যাটিং প্রস্তুতি ও ফিটনেসের দিক থেকে খুব ভালো ছিল। যদিও ম্যাচ খেলিনি, জাতীয় দলের সঙ্গে যতদিন ছিলাম, ভালো অনুশীলন হয়েছে। সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, প্রস্তুতি খুব ভালো। আত্মবিশ্বাসও খুব ভালো আছে। যদি সুযোগ পাই, কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।”
শ্রীলঙ্কায় শুক্রবারও অনুশীলন করে শনি ও রোববার নিজেদের মধ্যে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দল। এরপর ২১ সদস্যের প্রাথমিক দল থেকে ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত টেস্ট স্কোয়াড। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু আগামী বুধবার থেকে।