গত বছর পেশাদারী টেনিস বন্ধ ছিল বেশ কয়েক মাস। এরপর তা মাঠে ফেরার পর টুর্নামেন্টের আয়োজকরা খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য ‘জৈব সুরক্ষা বলয়’ তৈরি করলেও মাঠের বাইরেই রয়েছেন দর্শকরা।
কিছু টুর্নামেন্টে অবশ্য ফিরেছে দর্শক, তবে সেটা হাতে গোনা।
ফ্রান্সের মোনাকোয় চলমান মন্তে কার্লো মাস্টার্সের শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনার ফেদেরিকো দেলবনিসের বিপক্ষে ৬-১, ৬-২ গেমে জেতা ম্যাচে কিছুটা মনোযোগ হারিয়েছিলেন নাদাল। ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী এই স্প্যানিয়ার্ড মনে করেন, দর্শক না থাকায় খেলাটি কিছু একটা হারিয়েছে।
“দর্শক ছাড়া কখনও কখনও একই রকম উদ্যম ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। দর্শকের অনুপ্রেরণা এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। দেখাতে চাইবেন, আপনি ভালো অবস্থায় আছেন।”
“এটা সত্যি, ব্যক্তিগতভাবে আমি দর্শকদের অভাব অনুভব করছি। এটা নিয়ে আমি মিথ্যে বলব না। দর্শকহীন ম্যাচের চেয়ে দর্শকদের সামনে খেলাটা আমি আরও বেশি উপভোগ করি।”
এটিপি মাস্টার্স ১০০০-এর এই প্রতিযোগিতায় শেষ বত্রিশে ইতালির ১৯ বছর বয়সী জানিক সিনারকে ৬-৪, ৬-২ গেমে হারানো জোকোভিচের কণ্ঠে যেন একই সুর। গ্যালারিতে দর্শক ফেরানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই তারকা।
“গ্যালারিতে দর্শক থাকা আমাদের জন্য প্রয়োজন। তারা আমাদের অনেক শক্তি যোগায়। আমরা যা করি তার সঙ্গে এরা অনুপ্রেরণা যোগ করে, যা খেলার একটা অংশ।”