লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার সেমি-ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে টমাস টুখেলের দল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন হাকিম জিয়াশ।
দুই দলই গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে। আগেই লিগ কাপের ফাইনালে ওঠা সিটি প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আছে।
ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম আক্রমণে ওঠে চেলসি। টিমো ভেরনারের পাসে বাঁ পায়ের শটে জিয়াশ বল জালেও পাঠান। তবে সতীর্থের পাস ধরার সময় ভেরনার অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। পাঁচ মিনিট পর প্রথম সুযোগ পায় সিটি। কেভিন ডে ব্রুইনের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে শট নেন গাব্রিয়েল জেসুস, যা সহজেই ঠেকান গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগা।
১৯তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ আসে বেন চিলওয়েলের সামনে। কিন্তু ডান দিক থেকে রিস জেমসের ক্রসে ভলি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি চেলসির এই ইংলিশ ডিফেন্ডার।
৫৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় প্রতিযোগিতার গত আসরের রানার্সআপ চেলসি। বাঁ দিক দিয়ে ম্যাসন মাউন্টের পাস ধরে অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ভেরনার। গোলরক্ষককে এগিয়ে আসতে দেখে জার্মান ফরোয়ার্ড নিজে শট না নিয়ে বল দেন জিয়াশকে। বাঁ পায়ের শটে ফাঁকা জালে বল পাঠান মরক্কোর এই মিডফিল্ডার।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ পান জিয়াশ। সিটির ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াস বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান তিনি। একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। কিন্তু এগিয়ে এসে জিয়াশের শট রুখে দেন জ্যাক স্টিভেন।
নির্ধারিত সময়ের ছয় মিনিট বাকি থাকতে সমতা ফেরানোর সুযোগ পান জেসুস। কিন্তু জোয়াও কানসেলোর ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে শট নিতে পারেননি তিনি। আলগা বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন রাহিম স্টার্লিং।
যোগ করা সময়ে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক বল জালে পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ব্যবধান না বাড়লেও ফাইনালে উঠতে সমস্যা হয়নি প্রতিযোগিতার আটবারের চ্যাম্পিয়ন চেলসির।
শেষ চারের আরেক ম্যাচে রোববার মুখোমুখি হবে লেস্টার সিটি ও সাউথ্যাম্পটন। ফাইনাল হবে আগামী ১৫ মে।