ক্যাটাগরি

‘সম্পর্ক মেরামতে বৈঠক করেছেন’ সৌদি ও ইরানি কর্মকর্তারা

রোববার সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে এ বৈঠকের কথা প্রকাশ করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বাগদাদে গত ৯ এপ্রিল দুই দেশের কর্মকর্তাদের প্রথম দফা আলোচনা হয়েছে; সেখানে সৌদি আরবে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতিদের হামলার প্রসঙ্গও ছিল বলে কর্মকর্তাদের একজন ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন।

বৈঠকের বিষয়ে রয়টার্স সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা তাতে সাড়া দেয়নি; ইরানি কর্মকর্তাদের মন্তব্যও পাওয়া যায়নি।

সৌদি আরবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবশ্য ইরানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী গত মাসে সৌদি আরব সফর করেছিলেন।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে এলো যখন ওয়াশিংটন ও তেহরান ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি ফের কার্যকরের চেষ্টায় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে; রিয়াদ ওই পরমাণু চুক্তিটির ব্যাপারে ঘোর আপত্তি জানিয়ে আসছে।

ইয়েমেন যুদ্ধের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছুদিন ধরে সৌদি আরবের ওপর চাপও বাড়াচ্ছে। ইয়েমেনের হুতিদের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের যুদ্ধকে তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে ছায়া যুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়।

পরমাণু চুক্তিতে ইরানের জন্য আগের তুলনায় বেশি বাধ্যবাধকতা রাখতে এবং চুক্তি নিয়ে আলোচনায় উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর অংশগ্রহণ চাইছে সৌদি আরব। চুক্তিতে এবার যেন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও আঞ্চলিক বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি তেহরানের সমর্থনের প্রসঙ্গ অন্তর্ভুক্ত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে তারা।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি তেহরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞাও পুনর্বহাল করেন। সৌদি আরব ও এর মিত্ররা সেসময় এসব পদক্ষেপে সমর্থন জানিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই পদক্ষেপের পাল্টায় ইরানও পরমাণু চুক্তিতে তার জন্য থাকা বিভিন্ন শর্ত লংঘন করা শুরু করে।